ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: আদালতে একটি মামলার জামিন শুনানি চলছিল। মূল আসামির বদলে হাজির ছিলেন ৬ যুবক। এসময় একেক করে আসামিদের নাম ডাকা হচ্ছিল। একজনের নাম ডাকা হলে একসঙ্গে দুইতিন আসামির হাত তুলেন। প্রত্যেক আসামির নাম ডাকার সময় এমনটা হচ্ছিল। এতে বিচারকের সন্দেহ হলে ৬ যুবক আটক হন।
বুধবার (০১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ঘটে এমন ঘটনা। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন
রাতে তাদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানার মামলা দায়ের করা হয়। আটকরা হলেন কিশোরগঞ্জের তাড়াইলের সোহেল মিয়া (৩০), ময়মনসিংহের নান্দাইলের ওয়ালিউল্লাহ (২৬), রফিকুল ইসলাম (৩৫), সাইফুল ইসলাম (৩০) ও নুরুল্লাহ (২৮)।
ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, আদালতের ৫ম তলায় বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম। এদিন তিনি নান্দাইলের একটি মামলার পলাতক ৫ আসামির জামিন শুনানি করছিলেন। তবে পলাতক পাঁচ আসামি হাজির না হয়ে তাদের বদলে অন্য পাঁচজন এজলাসে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানির সময় আসামির নাম ডাকা হলে একসঙ্গে একাধিক ব্যক্তি হাত তোলেন। পরে আসামিদের নাম-ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে তারা উল্টাপাল্টা উত্তর দিতে থাকে ও পরিচয়পত্র দেখা বললে সেটিও দেখাতে তারা ব্যর্থ হন। এতে বিচারকের সন্দেহ হলে থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা প্রক্সি দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন ও তাদের আসল পরিচয় দেন। পরে তাদের আটক করে থানায় এনে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়।
সাননিউজ/এমআর