নিজস্ব প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম: ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে পানি বাড়ছে।
সোমবার (৩০ আগস্ট) এক সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে পানি বাড়ায় জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এসব এলাকার অন্তত ৩৫ হাজার পরিবার। তলিয়ে গেছে নিচু এলাকার কয়েক হাজার হেক্টর জমির রোপা আমনসহ সবজি ক্ষেত ও আমনের বীজতলা।
চলমান বন্যার পানিতে জেলার রাজীবপুর উপজেলার কোদালকাটি, মোহনগঞ্জ, রাজীবপুর; রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙা, চরশৌলমারী, বন্দবেড়; চিলমারী উপজেলার অষ্টমীরচর, নয়ারহাট, চিলমারী, রানীগঞ্জ; উলিপুর উপজেলার থেতরাই, দলদলিয়া, গুনাইগাছ, বজরা, বেগমগঞ্জ, বুড়াবুড়ি, সাহেবের আলগা, হাতিয়া; সদর উপজেলার হলোখানা, ভোগডাঙ্গা, ঘোগাদহ, মোগলবাসা, পাঁচগাছি, যাত্রাপুর; ভুরুঙ্গামারী উপজেলার শিলখুড়ী, তিলাই, সোনাহাট, পাইকেরছড়াসহ আন্ধারিঝাড় ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, জেলায় বন্যার্তদের জন্য ৩৬৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। ইতোমধ্যে ২৮০ মেট্রিক টন চাল ও ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সান নিউজ/ এমবি