সারাদেশ

পদ্মার পেটে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

নিজস্ব প্রতিনিধি,মানিকগঞ্জ: পদ্মা ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের চর এলাকা আজিমনগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন।

রোববার (২৯ আগস্ট) ভোররাতে ভবনটি নদীর বুকে বিলীন হয়ে যায়।

স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে হরিরামপুরের চরাঞ্চলে আজিমনগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মিত হয়। ভাঙন রোধে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে একাধিকবার জানিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইসরাত জাহান পানি উন্নয়ন বোর্ডকে একাধিকবার প্রতিবেদন পাঠালেও ভাঙন রোধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এদিকে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য আজিমনগর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় ভবনও ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। বর্তমানে স্কুল ভবন থেকে নদী তীরের দূরত্ব মাত্র ১৫০ মিটার।

আজিমনগর ইউনিয়নের হালুয়াঘাট এলাকার মো. নাসির উদ্দিন বলেন, পদ্মা ভাঙনে হুমকির মুখে আজিম নগর ইউনিয়নের ৬,৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড। এই চারটি ওয়ার্ডে আজিমনগর ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার মধ্যে চর অঞ্চলের একমাত্র এমপিওভুক্ত আজিমনগর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, ৫৭ নম্বর হারুকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাতিঘাটা আশ্রয়ণ প্রকল্প, ইব্রাহিমপুর জামে মসজিদ ও মাদ্রাসা। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে পদ্মায় বিলীন হয়ে যাবে। আমরা চরাঞ্চলের লোকজন ত্রাণ চাই না, ভাঙন রোধে স্থায়ী বেড়িবাঁধ চাই।

আজিমনগর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চৌধুরী আওলাদ হোসেন বিপ্লব বলেন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আমার স্কুল ভবনটিও চলে যাবে।

আজিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পদ্মা যখন ২০০ থেকে ৩০০ গজ দূরে তখন একাধিকবার উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি। ইউএনও মহোদয়ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছেন। তবে এখনো কাজ শুরু হয়নি। ভবনটি ভেঙে পদ্মায় চলে গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আজিমনগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনসহ আজিমনগরে পদ্মার ভাঙন রক্ষায় একাধিকবার পানি উন্নয়ন বোর্ডে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নিজে গিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। তবে এখনো কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাইন উদ্দিন বলেন,আজিমনগর এলাকায় পানির স্রোত বেশি থাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হলেও ভবনটি রক্ষা করা যেতো না। আর চরাঞ্চলে স্থায়ী বাঁধ দেওয়ারও সুযোগ নেই।

সাননিউজ/জেআই

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

নলছিটিতে ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠির নলছিটিতে শুরু হয়েছে ভূট্টো স্মৃত...

স্বামীর মুঠোফোনে সাবেক প্রেমিকের ম্যাসেজ-ভিডিও, নববধূর আত্মহত্যা

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সুবর্ণচরে স্বামীর মুঠোফোনে সা...

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের পরামর্শ

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সদস্য তোফায়েল আহ...

বাজার সহনশীল করার চেষ্টা করছি

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা কমে এসেছে জ...

বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃ...

ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ২

জেলা প্রতিনিধি: কক্সবাজার জেলার চ...

আজ সারা দিনের আবহাওয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশে অস্থায...

রাজধানীতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মিরপুর...

সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আর নেই 

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর সম্মিল...

দুপুরে শপথ নেবেন নতুন সিইসি ও ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ দুপুরে শপথ ন...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা