নিজস্ব প্রতিনিধি, রাজশাহী: রাজশাহী ওয়াসার একমাত্র সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টটির ইনটেক পয়েন্টে পদ্মা নদীর স্রোতে পন্টুন উল্টে পানি ওঠানোর ৬টি মেশিন নদীতে তলিয়ে গেছে। এতে নগরীতে পানি সরবরাহ করতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি।
স্থানীয়দের শঙ্কা, পরিস্থিতি চলমান থাকলে অচিরেই পানি সংকট দেখা দেবে। ২০১১ সালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্বাবধায়নে রাজশাহী নগরীর অদূরে পদ্মা নদীর পাড়ে গড়ে তোলা হয় নগরীর প্রথম ভূ-উপরিস্থ শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান পানি শোধনাগার।
গত ২২ আগস্ট নদীর পানির তোড়ে ইনটেক পয়েন্টের ভাসমান পন্টুনের একটি রশি ছিড়ে যায়। এতে ৬টি মেশিন পানিতে ডুবে যায়। এরপর থেকেই বন্ধ এই শোধনাগারের কার্যক্রম।
প্ল্যান্ট সুপারভাইজার মিন্টু কুমার সরকারের দাবি, এই মেশিগুলোতে নদীর পানি শোধন করে নগরীতে সরবরাহ করা হতো। এতে ভূগর্ভস্থ পানির চাপ কম পড়তো। এখন পরিস্থিতি বেগতিক হবে। এদিকে ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী পারভেজ মাহমুদ বলছেন, সমস্যা সমাধানে তৎপরতা শুরু হয়েছে।
নানা প্রতিকুলতার মধ্যে এই শোধনাগার থেকে পুরো রাজশাহী নগরীতে দৈনিক ২ দশমিক ৭ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা হচ্ছিলো। তবে, গোদাগাড়িতে পদ্মা নদীর পাড়ে আরও একটি পানি শোধনাগার পরিকল্পনা নিয়েছে ওয়াসা।
সান নিউজ/এমএম