নিজস্ব প্রতিনিধি, কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মোবাইলে কথা বলার ঘটনায় এসটিআইসহ ৪ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার (২৫ আগস্ট) এ প্রত্যাহার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান বলেন, এসটিআই শাহাব উদ্দিনসহ ৪ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে সকালে আদালতে মোবাইলে কথা বলা বেআইনি দাবি করে বিষয়টি বিজ্ঞ বিচারকের নজরে আনার কথা বছেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে এসব কথা বলেন তিনি।
ফরিদুল আলম বলেন, একজন আসামি কীভাবে কাঠগড়ায় মুঠোফোনে কথা বলতে পারেন? দায়িত্বরতরা কী করছিল? বিষয়টি বিজ্ঞ বিচারকের নজরে আনব।
এর আগে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার জেলার দায়রা জজ আদালতে মামলার প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ চলার সময় হঠাৎ দেখা যায় আসামির কাঠগড়ায় হাঁটু গেড়ে বসে বলছেন। তার বলার ছবিটি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। প্রদীপ সেনাবাহিনীর (অব.) মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলার প্রধান আসামি।।
একটি সূত্রে জানিয়েছে, ওই সময় দায়িত্বরত এক পুলিশ কনস্টেবল প্রদীপকে মোবাইল ফোনটি সরবরাহ করেছিলেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আদালত কক্ষের কাটগড়ার ভেতরে হাঁটু গেড়ে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলছেন বরখাস্ত ওসি প্রদীপ। এ সময় কয়েকজন ব্যক্তি আশপাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মোবাইল ফোনে একের পর এক কল আনুমানিক ৩০-৪০ মিনিট কথা বলেছেন বরখাস্ত ওসি প্রদীপ। ওই দিন পরনে ছিল কালো পোলো শার্ট ছিল তার। তবে প্রদীপ কার সঙ্গে কী বিষয়ে কথা বলেছেন তা জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টের গাড়ি তল্লাশি কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব ১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম।
সান নিউজ/এমকেএইচ