নিজস্ব প্রতিবেদক,ময়মনসিংহ: এক কিশোরীকে ভাগ্যবদলের স্বপ্ন দেখানো হয়েছিলো তাও আবার জিনের বাদশা পরিচয়ে। আর কোটিপতি হওয়ার আশায় সেই ফাঁদে পা দিয়ে ময়মনসিংহের ফুলপুর থেকে বগুড়ায় চলে যায় সেই কিশোরী।
তবে প্রতারক চক্রের হাতে পড়ার আগেই মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি জানান, গত সোমবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে জিনের বাদশা পরিচয়ধারী ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে বাড়ি ত্যাগ করেছিল সেই কিশোরী। পরে তার অভিভাবকরা বিষয়টি বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানায়।
পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়ার শাহজাহানপুর থানা এলাকা থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে। সে ফুলপুর উপজেলার একটি বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী।
কিশোরীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, একটি অপরিচিত নম্বর থেকে জিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে মোবাইলে মেয়েটিকে বলে, আমি জিনের বাদশা, দরবেশ বাবা বলতেছি। তোর জন্য একটা সুসংবাদ আছে। আল্লাহ তোর ভাগ্য খুইল্যা দিছে। তোকে স্বর্ণের চাক্কা দিব। কোটিপতি বানাব। আল্লাহ তোর ভাগ্যে রাখছে। তুই স্বর্ণপতি পাবি। কোটিপতি হবি।
তুই আমার কথামতো আমার নিকট চলে আয়। গাইবান্ধায় চলে আয়। যদি না আসিস, তাহলে তোর মা-বাবা, ভাই-বোন পরিবারের সবাইকে ধ্বংস করে দিব। আর তুই যে আসবে কাউকে বলতে পারবে না। পিছনে ফিরে তাকাতে পারবি না।
এসব কথা বিশ্বাস করে মেয়েটি কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পরে অভিভাবকরা পুলিশের শরণাপন্ন হলে তৎপরতা শুরু করে পুলিশ। শেষে জিনের বাদশার খপ্পরে পড়ার আগেই শাজাহানপুর থানার সামনে বাস থামিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়।
ফুলপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা প্রথমে মনে করেছিলাম কোনো ছেলে হয়তো তাকে ভাগিয়ে নিয়ে গেছে। কিন্তু তা নয়। কথিত জিনের বাদশার খপ্পরে পড়ে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তবে তার ভাগ্য ভালো আমরা তাকে উদ্ধার করতে পেরেছি। নাহলে হয়তো সে পাচার হয়ে যেতে পারত।
এখন তাকে তার পরিবারের হেফাজতে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে চক্রটিকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সাননিউজ/এএসএম