নিজস্ব প্রতিনিধি
দুঃস্বপ্নের ঘোর এখনো কাটেনি, পেটে খাবার জোটেনি, ঘরে থাকার মত অবস্থাও নেই। তবুও যেন সামনে এগিয়ে যেতে চায় ঝড়ে বিধ্বস্ত হওয়া মানুষগুলো। আর তাই সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে নতুন করে শুরু করার হিসেব কষছেন সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরের মানুষগুলো।
শ্যামনগরের প্রত্যন্ত গাবুরা ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নয়টি গ্রামের প্রায় দেড় হাজার পরিবারের সবাই কমবেশি বিধ্বস্ত হয়েছে।
ঝড়ে ভরন্ত মৌসুমি ফলগাছগুলো সব ফলশুন্য হয়ে গেছে। আম, পেয়ারা, জামরুল, পেঁপে সব ঝরে পড়েছে মাটিতে। অনেক গাছ উপড়ে গেছে, আবার অনেক গাছ ভেঙে গেছে। তবে এই সকল অর্থনৈতিক ক্ষতিকে পাশ কাটিয়ে গাবুরার মানুষ এখন ভাঙা বাঁধ নিয়ে বেশি শঙ্কিত।
জোয়ারের সময় ভাঙা বাঁধ দিয়ে খোলপেটুয়া নদী থেকেঅবিরাম পানি ঢুকছে। পানি ঢুকে গ্রামগুলোকে যেন একেকটি দ্বীপ মনে হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দু-তিনটি গ্রামে মানুষের ঘর অব্দি ডুবে গেছে। কেউ কেউ ঘরের চালে উঠে থাকছে। কেউ বা আবার পানি কমার আশায় এখনো সাইক্লোন শেলটার রয়ে গেছেন। গাবুরা থেকে ঝড়ের আগে প্রায় দুই হাজার মানুষকে নদী পার করে শ্যামনগর উপজেলা সদরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাদের অনেকে এখনও ফেরেননি।
সান নিউজ/ বি.এম.