নিজস্ব প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা: সুন্দরবন উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলার একটি গ্রাম হলো গোলাখালি। গত চার দিন আগে রাত ১১টার দিকে ওই গ্রামে হঠাৎ বাঘের গর্জন ভেসে আসতে শুরু করে। এতে গ্রামবাসী প্রথমে আঁতকে উঠে। তবে কিছুক্ষণ পরে তারা বুঝতে পারে বাঘ গ্রামে ঢুকেনি। মূলত বাঘটি বনেই ডাকছে। গত কয়েক বছরে এমন ঘটনা না ঘটলেও চলতি মাসে ৩ বার বাঘের গর্জন শুনেছেন তারা।
সোমবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে ওই এলাকায় গেলে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন গ্রামবাসীরা।
বন বিভাগ বলছে, বর্তমানে বাঘের প্রজনন মৌসুম চলছে। এ মৌসুমে বাঘ ও বাঘিনী একত্র হয়। অনেক সময় যখন বাঘ বাঘিনীকে তাড়া করে, তখন ডাকাডাকি করে। তখনই মূলত সেই আওয়াজ লোকালয়ে ভেসে আসে। ২০১৫ সালে সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা ছিলো ১০৬টি। ২০১৮ সালের জরিপে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ১১৪টি। ২০২১-২২ সালে সুন্দরবনে বাঘ গণনার পরিকল্পনা রয়েছে। গণনা শেষে বর্তমানে সুন্দরবনে বাঘের প্রকৃত সংখ্যা জানা যাবে। তবে ধারণা করা যায়, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে।
পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্চের বুড়িগোয়ালীনি ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান আহম্মেদ জানান, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। বাঘের বিচরণ ও পায়ের ছাপ প্রায়ই লক্ষ্য করা যায়। তাছাড়া বর্তমানে বাঘের প্রজনন মৌসুম শুরু হয়েছে। এ কারণে বাঘের গর্জন অনেক সময় লোকালয়ে ভেসে আসছে। কয়েক বছর আগে বাঘের এমন বিচরণ দেখা যায়নি। চার বছর আগে বাঘশুমারি করা হয়েছিলো, তখন সুন্দরবনে বাঘ ছিলো ১১৪টি। তবে এখন এই সংখ্যা আরও বাড়বে।
সান নিউজ/ এমবি