নিজস্ব প্রতিবেদক: রাত তখন সাড়ে ৯টা। স্বামীসহ অটোভ্যানে চড়ে নবাবগঞ্জ যাচ্ছিল গৃহবধূ। পথে বাঁশবাড়িয়া গ্রামে হঠাৎ থেমে যায় ভ্যানটি। হঠাৎ রাস্তার পাশে ওত পেতে থাকা ৫ যুবক ভ্যান থামিয়ে চালককে পেটানো শুরু করে।
হতভম্ব হয়ে যান ভ্যান আরোহী স্বামী-স্ত্রী। চালককে পিটিয়েও ক্ষান্ত হয়নি, টেনে-হিঁচড়ে গৃহবধূসহ তার স্বামীকে পাশের বাগানে নিয়ে যায় তারা। তারপর কেটে যায় ভয়ংকর সাড়ে ৩ ঘণ্টা।
শুক্রবার রাতে দিনাজপুরের বিরামপুরের দিওড় ইউপির বাঁশবাড়িয়া গ্রামে ঘটে যায় এ ঘটনা।
স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই গৃহবধূকে বাগানের মধ্যে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ওই ৫ যুবক। শত চিৎকার চেঁচামেচি করেও ধর্ষকদের হাত থেকে নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে পারেননি তিনি। চারদিকে ছিলো নিস্তব্ধতা। শুধু চাঁদের আলোয় সেসব বীভৎস দৃশ্য তাকিয়ে দেখে সেই অসহায় স্বামী।
রাত যখন ১টা, সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধর্ষণ শেষে ওই দম্পতিকে বাগানেই ফেলে রেখে চলে যায় ৫ যুবক। এরপর স্বামীর বাঁধন খুলেই জাতীয় জরুরি পরিষেবা ৯৯৯ -এ কল দেয় ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ। ফোন পেয়ে বিরামপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে। রাতেই ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- উপজেলার কানিকাঠাল গ্রামের সুলতান হোসেনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম, বাঘার পাড়া গ্রামের মহরমের ছেলে আব্দুল লতিফ, বেপারীটোলা গ্রামের কুরবান আলীর ছেলে শুভমিয়া, আকতার হোসেন এর ছেলে আবু রায়হান এবং মজিবর হোসেনের ছেলে ময়নুল ইসলাম।
বিরামপুর থানার ওসি সুমন কুমার মহন্ত বিষয়টি করে নিশ্চিত করে বলেন, নির্যাতনের শিকার নারী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনাটি আমরা খতিয়ে দেখছি।
তিনি আরো বলেন, পাঁচ আসামিকে আটক করার পর শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে দিনাজপুর কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
সাননিউজ/এএসএম