নিজস্ব প্রতিনিধি,জয়পুরহাট: রেললাইনে ফাটল। দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসছিল একটি ট্রেন। ঘটতে পারত বড় ধরনের দুর্ঘটনা, হতে পারত বহু প্রাণহানিও। বিষয়টি দেখতে পেয়ে সাহস করে রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে লাল গামছা উড়িয়ে ট্রেনটি থামায় গ্রামবাসী। এতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে ট্রেনটি রক্ষা পেয়েছে।
শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার কোকতারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা পার হলে এই পথে পুনরায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ ঘটনায় ট্রেন চালক শাহ আলম বলেন, ‘রেললাইনের প্রায় ৮ ইঞ্চি জায়গা ভেঙে রয়েছে। আর এই ভাঙা রেললাইন দিয়ে ট্রেনটি প্রায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে পার হওয়ার কথা ছিল। গ্রামবাসীদের তৎপরতায় ও বুদ্ধিমত্তায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে ট্রেনটি রক্ষা পেয়েছে।’
গ্রামবাসীরা জানান, স্থানীয় শফিকুল ইসলাম, তার ভাতিজা গুলজার ও নাজির হোসেন নামে এক যুবক রেললাইনের ভাঙা অংশ দেখে ট্রেন থামানোর সিদ্ধান্ত নেন।
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভোরে রেললাইন দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় নাজির রেললাইন ভাঙা দেখে আমাকে জানায়। সেসময় আমার ভাতিজা গুলজারের হাতে লাল গামছা ছিল। ট্রেনটি আসার আগেই আমরা গামছা উড়িয়ে ট্রেনটি থামাতে সক্ষম হই।’
সান্তাহার জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজের আলী জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করে হিলির উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেলে উপজেলার কোকতারা এলাকায় রেললাইনের ওপর লাল গামছা ওড়ানো দেখে হঠাৎ করেই ট্রেন থামিয়ে দেন চালক। খবর পেয়ে জিআরপি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হিলি রেল কর্মীদের খবর দেয়। তারা এসে মেরামত করে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সাননিউজ/এএসএম