নিজস্ব প্রতিবেদক:
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'আম্ফান'এর প্রভাবে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। খুলনার কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী আংটিহারা ও গোলখালি এলাকায় পাউবো’র বেড়িবাঁধ ছাপিয়ে লোকালয়ে ঢুকতে জোয়ারের পানি। সেখানকার প্রায় এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ভাবে বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করেছে।
স্থানীয়রা জানান, পানির চাপ এতটাই বেশি যে বেড়িবাঁধ যে কোন সময় ভেঙ্গে প্লাবিত হতে পারে বিস্তীর্ণ এলাকা। সংস্কারের অভাবে খুলনার কয়রায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে প্রায় ২৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ। উপজেলার জোড়শিং বাজারসহ কয়েকটি এলাকায় বেড়িবাঁধের মাটি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। লোকালয়ে ঢুকতে শুরু করেছে পানি।
কয়রার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম শামসুর রহমান বলেন, বেড়িবাঁধের নাজুক অবস্থা সম্পর্কে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)কে আগেই জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা গুরুত্ব দেয়নি। এখন হুমকির মুখে সাধারণ মানুষ।
ভোলায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে জোয়ারে চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ও চর পাতিলা এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ৫ হাজার মানুষ।
ভোলার জেলা প্রশাসন মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, দ্বীপ জেলা ভোলার ২১টি ঝুঁকিপূর্ণ দ্বীপচর থেকে ৩ লাখ ১৬ হাজার বাসিন্দাকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এক লাখ ৩৬ হাজার গবাদিপশুকেও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। করোনার কারণে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে গড়ে ২০০ জন করে রাখা হয়েছে।
বাগেরহাট, সাতক্ষীরার সুন্দরবন সংলগ্ন নদীগুলোতে স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ থেকে ৪ ফুট পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।সুন্দরবন সংলগ্ন চুনা, খোলপেটুয়া, মাংলঞ্চ ও যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পায়।
উপকূলীয় এলাকায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।