নিজস্ব প্রতিনিধি
খুলনার কয়রা উপজেলার কয়রা সদর, উত্তর বেদকাশী এবং দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের কয়েকটি জায়গায় ইতিমধ্যেই বেড়িবাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করেছে। স্থানীয়রা বেড়িবাঁধের ওপর মাটি ফেলছে পানি আটকানোর জন্য, কিন্তু পানির উচ্চতা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নে ওয়াপদা বাধে ভাঙন শুরু হয়েছে। স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধিরা ভাঙ্গন রোধে একত্রিত হয়ে কাজ করছেন।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সুত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে ভাঙন দেখা দেওয়ার পর দ্রুততার সঙ্গে ইউপির আপদকালিন তহবিল থেকে অর্থ নিয়ে ভাঙন ঠেকাতে মাটি ফেলা হয়।
স্থানীয় এক চেয়ারম্যানে এস এম এনামুল হক জানান, এলাকাবাসীকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে প্রশাসন যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করছে। ১২টা আশ্রয়কেন্দ্রের সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদ ও সোলাদনা মাধ্যমিক বিদ্যালয় নিয়ে ১৪টি স্থানে ইতোমধ্যে ৬০০ মানুষকে আনা সম্ভব হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ঘূর্ণিঝড় আম্পান উপকূলে আঘাত হানার আগেই খুলনার নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপকূলীয় উপজেলা কয়রা, পাইকগাছা, এবং দাকোপ এলাকায় নদীর পানি স্বাভাবিক মাত্রার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পশুর নদীতে পানি প্রবাহের মাত্রা রয়েছে ২.৭৯ মিটার যা স্বাভাবিক অবস্থায় ২ দশমিক ৪৪ মিটার। অন্য দিকে রূপসা নদীতে প্রবাহিত পানির সীমা রয়েছে ২.৫২ মিটার।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী বলেন, জলোচ্ছ্বস না হলে বাঁধ ক্ষতিগুস্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম। আম্পানের প্রভাবে জোয়ারের সময় নদীতে পানি বাড়ছে।