নিজস্ব প্রতিনিধি:
স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে অনেক বেশি বেগ পেতে হচ্ছে খুলনার প্রশাসনকে। গতকাল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হলে সন্ধ্যায় আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয় লোকজনকে। কিন্তু রাতে বৃষ্টি কমে যাওয়ার পর পরই লোকজন বাড়ি ফিরে যান।
বুধবার (২০ মে) সকালে আবার তাদেরকে নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে নিয়ে যেতে অনেক বাক্যব্যয় করতে হচ্ছে উপজেলা প্রশাসনকে। অতঃপর দুপুরের আগ পর্যন্ত কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছায় ৬০ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া সম্ভব হয়েছে।
দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩০ হাজার মানুষকে ৩৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছিল। আশ্রয়কেন্দ্রের আশপাশেই এদের অবস্থান হওয়ায় রাতে বৃষ্টি কমে যাওয়ার পর এরা আবার বাড়িতে ফিরে যায়। তবে, বুধবার সকাল থেকে আবারও মাইকিং করে ও কৌশল নিয়ে মানুষজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া শুরু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সকাল ৯টা পর্যন্ত ৩৫ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, খুলনার নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভরা জোয়ারের সময় কয়রা উপজেলায় বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে পানি বইছে। পানির চাপে পাইকগাছা ও কয়রায় বেড়িবাঁধের দুটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা মাটি ফেলে ভাঙন রোধ করেছেন।