বাগেরহাট প্রতিনিধি:
সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে উপকূলীয় এলাকার আবহাওয়া এখন থমথমে। মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক।
স্থানীয়রা বলছেন, এখন পর্যন্ত হাওয়া বন্ধ এবং গুমট অবস্থায় আছে, আকাশে মেঘ। ঠিক যেমনটি হয়েছিল সিডরের পূর্ব মুহূর্তে।
কথিত আছে, এই সাউথখালীতে ২০০৭ সালের সিডরে এমন কোনো পরিবার নেই যেখানে কেউ মারা যাননি। স্থানীয়দের অনেকেই সেই ভয়াবহ স্মৃতি আর আতঙ্ক এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি।
জলোচ্ছ্বাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বাগেরহাটের সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা উপজেলা। তাই এখনো ঝড় দেখলেই আঁতকে উঠেন তারা।
সিডরের আঘাতে শুধুমাত্র এই একটি এলাকা থেকে ৭৭৮জন মারা গেছেন। সেই ক্ষতি এখনো তারা পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেননি। এছাড়া আগে যেসব জমিতে ধান চাষ হতো, তার অনেক জমিই নদীতে ভেঙ্গে গেছে।
বর্তমানে এই এলাকায় ১০৭টি আশ্রয়কেন্দ্র আছে। এখন দেখার বিষয় এই যে, এই আশ্রয়কেন্দ্রগুলো মানুষ ও গবাদি পশুকে কতটা নিরাপত্তা দিতে পারে। স্থানীয় প্রশাসন ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছেন।