নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণাসহ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। রাজধানীতে প্রবেশ ও ত্যাগেও আরোপ করা হয়েছে বিধি-নিষেধ। তবে এরপরও আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ঢাকা থেকে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। এমন অবস্থায় অতিরিক্ত যাত্রীর চাপের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এই নৌরুটে ফেরি চলাচল সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের দৌলতদিয়া ঘাটের শাখা ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে এই নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা অঞ্চলের উপ- মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেন, ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর উভয় ঘাটে থাকা ফেরিগুলোকে মাঝ নদীতে রাখা হয়েছে। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার সিদ্ধান্ত হলে ফেরিগুলোকে আবার ঘাটে আনা হবে।
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের গোলড়া এলাকায় চেকপোস্ট বসানো হয়। জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া সব ধরনের গাড়ি আটকে দেওয়া হয় এবং সেগুলোকে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু এত চেষ্টার পরেও মানুষ বিকল্প পথে পাটুরিয়া যাচ্ছিল। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় বিআইডব্লিউটিসি’কে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে অনুরোধ করা হয়।
এর আগে, সকালে পাটুরিয়া ফেরিঘাট থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরিতে শত শত ঘরমুখো যাত্রী দৌলতদিয়ায় আসতে দেখা গেছে। কোনো প্রকার সামাজিক দূরত্ব না মেনে গা ঘেঁষে ঘাটে নামছেন যাত্রীরা। পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়িও পারাপার হচ্ছিল।
এদিকে সকাল থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে জরুরি পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া অন্য সব যান পারাপার বন্ধ রাখায় আটকা পরা ক্ষুব্দ যাত্রীরা ফেরি ঘাটের ৫ নম্বর কাউন্টার ভাঙচুর করেছে প্রাইভেটকার চালক ও যাত্রীরা।
দৌলতদিয়া প্রান্তে নদী পারের অপেক্ষায় সিরিয়ালে কয়েকশ পণ্যবাহী ট্রাককে থাকতে দেখা গেছে। দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে পারের অপেক্ষায় রয়েছে এসব পণ্যবাহী ট্রাক।