নিজস্ব প্রতিনিধি, রাজবাড়ী: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে পণ্যবাহী গাড়ির চাপ বেড়েছে। এতে ঘাট এলাকায় প্রায় ১৩ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট তৈরি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছে পণ্যবাহী গাড়ির চালক ও সহকারীরা।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে ঘাট এলাকায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
মূলত বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে পণ্যবাহী ফেরি চলাচলের নিষেধাজ্ঞার কারণে দৌলতদিয়া ঘাটে পণ্যবাহী গাড়ির চাপ বেড়েছে। এছাড়া ওই রুটে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। ভরা বর্ষার কারণে অনেকে ঝুঁকি এড়াতে লঞ্চের পরিবর্তে ফেরিতে চলাচল করছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ফেরিতে বাস ও মানুষদের পারাপার করা হচ্ছে। এ কারণে ঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের সারি দেখা যায়নি।
দুপুরের দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকায় যানজট রয়েছে। প্রায় ৪০০ পণ্যবাহী ট্রাক ফেরি পারের জন্য অপেক্ষা করছে।
অন্যদিকে ঘাট এলাকায় যানজট কমাতে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ১৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার দূরে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গোয়ালন্দ মোড় থেকে আহলাদিপুর জুট মিল পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকায় ৪০০ পণ্যবাহী ট্রাক ও কার্ভাড ভ্যান আটকে রাখা হয়েছে। যা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে।
গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই বিনয় কুমার বলেন, ‘লকডাউন শিথিল হওয়া এবং দুই রুটের গাড়ি এক রুটে আসায় বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়েছে। ঘাট এলাকায় প্রায় ১৩ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় আমরা অপচনশীল পণ্যবাহী যানবাহনকে আটকে রাখছি এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এগুলোকে ফেরি পারের জন্য ছেড়ে দিচ্ছি।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। মাওয়া থেকে আরও তিনটি বড় ফেরি আজই এই রুটে যোগ হবে।
সান নিউজ/ এমবি