নিজস্ব প্রতিবেদক:
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’এর কারণে সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে দ্রুত জমির ধানসহ সব ধরনের পাকা ফসল ঘরে তোলার জন্য কৃষকদের নির্দেশ দিয়েছে কৃষি বিভাগ। ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা।
ভোলা কৃষি বিভাগ জানায়, বর্তমানে কৃষকের বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেতে বোরো, চিনা বাদাম, মচির, মুগ, ফেল ডাল ও সয়াবিন রয়েছে। এবার ৩৮ হাজার ৭৮৮ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। যার মধ্যে এখন পর্যন্ত কাটা হয়েছে ৬৮ ভাগ।
তবে যেসব ধান বা অন্য ফসল এখনো পাকেনি, সেগুলো কাটতে পারছেন না চাষিরা। ফলে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন তারা।
এবছর জেলায় চিনা বাদাম আবাদ হয়েছে- ১৪ হাজার ৪৫০ হেক্টর, এর মধ্যে কাটা হয়েছে ৪০ ভাগ; মরিচ আবাদ হয়েছে ১৮ হাজার ২২৫ হেক্টর, কাটা হয়েছে ২৫ ভাগ; মুগ আবাদ হয়েছে ৩৭ হাজার ৪১৫ হেক্টর, যার মধ্যে প্রায় ৫০ ভাগ কাটা হয়ে গেছে। এছাড়াও ফেলন ডাল ১০ হাজার ২০ হেক্টর ও সয়াবিন ৯ হাজার ৭৭৯ হেক্টরের মধ্যে বেশির ভাগ এখনো কাটা হয়নি। এসব পাকা ফলন দ্রুত কাটতে নির্দেশ দিয়েছে কৃষি বিভাগ।
এদিকে সিপিপি (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি) জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিম কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।
ভোলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি (সিপিপি) মো.সাহাবুদ্দিন জানিয়েছেন, 'বর্তমানে ভোলায় ৪ নম্বর স্থানীয় সংকেত চলছে। ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে আমরা আমাদের স্বেচ্চাসেবীদের উপকূলে মাইকিং করার নির্দেশ দিয়েছি।'
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নিয়েছে। ‘আম্ফান’ নামের এ ঝড়টি প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে বর্তমানে ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অভিমুখে এগোচ্ছে। ফলে সাগর উত্তাল থাকায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে চলছে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, ঘূর্ণিঝড় আম্পান মঙ্গলবার (১৯ মে) অথবা বুধবার (২০ মে) বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তাই উপকূলীয় উপজেলায় কাটার উপযোগী সব ফসল দ্রুত ঘরে তুলতে কৃষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।