নিজস্ব প্রতিনিধি, বাগেরহাট: বাগেরহাট জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বীজতলা, আমন ধান, সবজি, পানসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আমনের বীজতলার। বীজতলা পচে ও নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নতুন করে দেখা দিয়েছে বীজ সংকট। এতে অধিকাংশ জমি অনাবাদী থাকার আশংকা করছেন কৃষকরা।
রোববার (৮ আগস্ট) বিকেলে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপে গত জুলাই মাসের ২৭ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত ভারী বর্ষণ ও পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে প্লাবিত হয় বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়ে জেলার লক্ষাধিক মানুষ। ভেসে যায় পুকুর ও মাছের ঘের।
এদিকে শরণখোলা, রামপাল, মোংলা, মোড়েলগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ বীজতলা নষ্ট হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে কৃষকরা।
কৃষকরা জানায়, সম্প্রতি বৃষ্টির ফলে ধানের বীজতলা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চারাগাছ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন ধান চাষাবাদের জন্য অনেক জায়গায় যোগাযোগ করেও বীজ সংগ্রহ করতে পারছেন না। শেষ পর্যন্ত জমি পতিত থাকবে কিনা, তাই নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে জেলায় ১ হাজার ৫৮৮ হেক্টর রোপা আমনের বীজতলা নষ্ট হয়েছে। ৯৬০ হেক্টর জমির আউশ ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন সবজির ক্ষতি হয়েছে ৩৭৯ হেক্টর জমির। সাড়ে ১০ হেক্টর জমির পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে এতে ২০ হাজার ২০৩ জন কৃষকের ৫ কোটি ৬৫ লাখ ৩ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বীজতলা নষ্ট হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে। সরকারি সহায়তা আসলে কৃষকদের দেওয়া হবে। পাশাপাশি ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষকদের নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও বীজ ধান সংগ্রহে কাজ করা হচ্ছে।
সান নিউজ/ এমবি