নিজস্ব প্রতিনিধি,চাঁদপুর: চাঁদপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন স্বামী দেলোয়ার হোসেনের সুচিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হয়েছে দাবি করে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের দিকে ছুরি হাতে তেড়ে গেলেন স্ত্রী কুলসুমা বেগম।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনায় হাসপাতাল জুড়ে রীতিমতো হৈ চৈ পড়ে যায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মৃত রোগীর স্বজন ও হাসপাতালে থাকা অন্যান্য রোগীরাও। পরে ওই নারী জ্ঞান হারিয়ে হাসপাতালের ফ্লোরে লুটিয়ে পড়েন।
মৃত দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রূপসা গ্রামে। তিনি বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুরে তিনি মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের করোনা ফোকাল পার্সন এবং আরএমও ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল। তিনি বলেন, অক্সিজেন লেভেল কম থাকায় দেলোয়ার হোসেন নামের ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি একদিন পূর্বে করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। তাকে বাঁচাতে চেষ্টার ত্রুটি ছিলো না।
ডা. সুজাউদৌলা রুবেল আরও বলেন, ‘হয়তো দেলোয়ারের স্ত্রী এই মৃত্যু মেনে নিতে প্রস্তুত ছিলেন না। তাই তিনি এমন খবর শুনে হতাশ হয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে আমাদের চিকিৎসক ও নার্সদের প্রাণনাশের আশায় ফল কাটার ধারালো ছুরি নিয়ে তেড়ে আসেন। যদিও পরে আমরা হাসপাতালের সবাই মিলে তাকে শান্ত করি এবং তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।’
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হাসপাতালের স্টাফ আল-আমিন বলেন, ‘আমি তখন হাসপাতালে ছিলাম। হঠাৎ করে এক নারী ছুরি নিয়ে নার্স ও চিকিৎসকদের আঘাতের উদ্দেশ্যে তেড়ে আসেন। লোকজন আতঙ্কিত হয়ে চিল্লাপাল্লা শুরু করলে ওই নারী অজ্ঞান হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়েন।’
সাননিউজ/এএসএম