নিজস্ব প্রতিনিধি, সোনারগাঁও : সোনারগাঁয়ের বারদী ইউনিয়নের আলগীর চর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় টেঁটাবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে টেঁটাবিদ্ধ শাহিদা বেগম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান। আহতদের মধ্যে আরও একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে ব্যবসায়ী মো. সাদেকুর রহমান বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন। নিহত শাহিদা বেগমের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের আলগীর চর গ্রামের মৃত বিল্লাল হোসেনের ছেলে সাদেকুর রহমানের সঙ্গে একই গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে হাবিবুর রহমানের একটি জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো।
এর জের ধরে বিভিন্ন সময়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সালিস হয়। সালিস অমান্য করে হাবিবুর রহমান সালিসে উপস্থিত হননি। গত বুধবার আবার জমির বিরোধ মিমাংসায় সালিসের আয়োজন করা হয়।
সালিসেও হাবিবুর রহমান উপস্থিত না হয়ে জমি দখলের চেষ্টা করে। এতে বাধা দেওয়ায় হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে জিয়া, জামিল হোসেন, মোহাম্মদ হোসেন, মনির হোসেন, রাব্বী, ফারুকসহ ১০-১৫ জনের একটি দল সাদেকুর রহমানের লোকজনের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় টেঁটাবিদ্ধ, রামদা ও হকিস্টিকের আঘাতে মো. মনির হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, শাহিদা বেগম, হামিদা, শারমিন, রেজাউল ও শাকিল আহত হয়। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে শাহিদা বেগম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ছাড়া দেলোয়ার হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ব্যবসায়ী সাদেকুর রহমান বলেন, সালিসে উপস্থিত না হয়ে জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করেছেন হাবিবুর। বাধা দেওয়ায় আমার আত্মীয়-স্বজনকে টেঁটাবিদ্ধ, পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে।
অভিযুক্ত হাবিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ জমি আমাদের। জমিতে যেতে বাধা দেওয়ায় উভয় পক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে।
সোনারগাঁ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, টেঁটাবিদ্ধ, পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আহতদের মধ্যে শাহিদা বেগম মারা গেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।