সেচ কাজের জন্য নির্মিত সৌর প্যানেল থেকে উৎপাদিত অতিরিক্তি বিদ্যুৎ যোগ হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে। প্রথম বারের মতো এ প্রকল্প শুরু হয় কুষ্টিয়ার ছাতিয়ান ইউনিয়নের কালিনাথপুর গ্রামে।
বাংলাদেশ সরকারের টেকসই ও নবায়যোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- স্রেডা'র তত্ত্ববধানে এবং ইউএনডিপির অর্থায়নে এ প্রকল্পের কারিগরি সহায়তা দিয়েছে সোলার-ই টেকনোলজি।
সোলার-ই টেকনোলজি সমন্বয়কারী আহমেদুল কবির উপল জানান, স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ লাইনের সাথে ব্রাইট গ্রীন এনার্জি নির্মিত সোলার প্যানেলের সংযোগ দেয়া হয়েছে। সেই প্যানের থেকে উৎপাদন হয় ২৫ কিলোওয়াড বিদ্যুৎ। সেচ কাজের চলাকালে উদ্বৃত্ব বিদ্যুৎ এবং সেচ যখন বন্ধ থাকবে সখন পুরো বিদ্যুৎ যোগ হবে জাতীয় গ্রিডে।
টেকসই ও নবায়যোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- স্রেডার চেয়ারম্যান মো. হেলাল উদ্দিন জানান, ইডকলের অর্থায়নে সারাদেশে প্রায় ২১শ' সৌর বিদ্যুৎ চালিত সেচ পাম্প রয়েছে। সেখান থেকে উৎপাদিত সম্পূন্ন বিদ্যুৎ সেচ কাজে ব্যবহার হয় না। এবং বর্ষা মৌসুমে সেচ কাজ না থাকায় সোর প্যানেল থেকে উৎপাদিত পুরো বিদ্যুৎ অব্যবহৃত থাকে। এই বিদ্যুতের যথাযথ ব্যবহারের জন্য প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। সে প্রকল্পের আওতায় প্রথমবারের মতো কুষ্টিয়াতে প্রাথমিকভাবে সেচ প্রকল্পের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ করা হলো।
সোলার প্যানেল থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হওয়ায় আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন প্যানেলের মালিক। একই সাথে আন্য দিক থেকে বাড়তি আয় হওয়ায় কৃষকদের কম খরচে সেচ দিতে পারছেন সৌর বিদ্যুৎ চালিত পাম্পের মালিকরা।
কৃষকরা জানান, সৌর বিদ্যুৎ চালিত পাম্পের মাধ্যমে সেচ দিলে ডিজেল চালিত পাম্পের চইতে বিঘাপ্রতি অন্তত ৮শ টাকা কম খরচ হচ্ছে তাদের। এতে লাভবান হচ্ছেন তারা।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ প্রকল্প সারাদেশে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে দিতে পারলে লাভবান হবেন চাষিরা। কমে আসবে কৃষি পণ্যের উৎপাদন খরচ। বাজারে কমবে দ্রব্যমূল্যের দাম। লাভবান হবেন ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই।