নিজস্ব প্রবিদেক, কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। টেকনাফের দমদমিয়ায় টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কের পাশে জঙ্গলে বুধবার (৫ আগস্ট) রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
র্যাবের দাবি, রোহিঙ্গা ডাকাত জকির গ্রুপের সক্রিয় সদস্য নুরু। এ ঘটনায় র্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত ৪০ বছর বয়সী নুরুল হক প্রকাশ নুরু মিয়ার বাড়ি টেকনাফের হ্নীলা জাদিমুড়া ২৭ নম্বর ক্যাম্পের সি ব্লকে। আহত র্যাব সদস্যরা হলেন, সিপিএ মো. ইয়াছিন ও কনস্টেবল মো. মাহফুজুল আলম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫ সিপিসি-১ টেকনাফ র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিমান চন্দ্র কর্মকার।
তিনি জানান, ডাকাতির প্রস্তুতি চলছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কের জঙ্গলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাবের টহল দলের সদস্যরা।
এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ১০ থেকে ১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। ১৫ মিনিট ধরে চলা গোলাগুলির একপর্যায়ে ডাকাত দলের সদস্যরা পিছু হটে।
টেকনাফ র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অস্ত্রসহ নুরুকে উদ্ধার করে ক্যাম্পের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আহত র্যাব সদস্যদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাক্তার শুভ্র দেব জানান, বুধবার রাত আড়াইটার দিকে এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। সেখানে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। তার শরীরে গুলির জখমের চিহ্ন রয়েছে।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলিসহ ১টি ম্যাগাজিন ও ৩টি দেশীয় অস্ত্র, ২টি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে নুরুর মৃত্যুর খবরে ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের মাঝে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। ক্যাম্পের কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, ডাকাত জকির মারা যাওয়ার পর নুরুর নেতৃত্বে ক্যাম্প এলাকায় খুন, অপহরণ, ডাকাতি, মুক্তিপণ বাণিজ্য চলছিল।
সান নিউজ/এমএম