জাহিদ রাকিব: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রাখা ২৪ শ্রমিকদের লাশ নিতে অপেক্ষা করছেন তাদের পরিবার। একই ঘটনায় সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজে রাখা ১৮টি লাশ পরবর্তীতে হস্তান্তর করা হবে বলে মেডিক্যাল সূত্রে জানা গেছে।
বুধবার (৪ আগষ্ট) সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গ থেকে লাশ হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে লাশ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে। শুধুমাত্র ঢাকা মেডিক্যাল মর্গে রাখা ২৪ লাশের ডিএনএ সম্পূর্ণ হয়েছে। তাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর হবে।
ঢামেক ফরেনসিক বিভাগ সূত্র জানায়, ‘ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের মাধ্যমে আমরা ৪৮টি লাশের মধ্যে ৪৫ জন শ্রমিকের লাশ শনাক্ত করেছি। আমাদের রিপোর্ট রূপগঞ্জ থানায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। রূপগঞ্জ থানা হয়ে রিপোর্টটি আবার সিআইডিতে এসেছে। কারণ, মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে। দেখা যায়, লাশ হস্তান্তরের খবরে ঢামেক মর্গের সামনে স্বজনদের ভিড় বেড়েছে। কান্না আর আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠেছে আশপাশের পরিবেশ।
কথা হলে রিপন ইয়াছিন নামে একজন জানান, তিনি তার বোনের ছেলের লাশ নিতে এসেছেন। সে জানান, তার ভাগিনা সেজান গ্রুপের ললিপপ কারখানায় কাজ করতো। ওইদিনের অগ্নিকান্ডে নিহতের পর লাশ এতোদিন মর্গেই ছিলো। পরে তাদের ডিএনএ মিলে যাওয়ায় গতকাল ফোন দেওয়া হয়েছিলো। আজ বুধবার লাশ নিতে এসেছেন।
গত ৮ জুলাই রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় আগুনের সূত্রপাত হয়। কারখানার ছয়তলা ভবনটিতে তখন প্রায় ৪০০-এর বেশি কর্মী কাজ করছিলেন। কারখানায় প্লাস্টিক, কাগজসহ পণ্যের মোড়ক তৈরির প্রচুর সরঞ্জাম থাকায় আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সব ফ্লোরে।
প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় কয়েকটি ফ্লোরের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিটের ২০ ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। সব মিলিয়ে এ ঘটনায় ৫২ জনের লাশ উদ্ধার হয়।
সান নিউজ/এমএম