নিজস্ব প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও : রাজাকারকে মুক্তিযোদ্ধা এবং তার মেয়েকে বীরাঙ্গনা হিসেবে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদ জানিয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল। শনিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব অভিযোগ করেন।
এ সময় কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার ইব্রাহিম খান লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১৪ মার্চ জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকার ৭৩তম সভায় এলাকার চিহ্নিত ও আলোচিত রাজাকার আলবদর বাহিনীর সদস্য ডা. মনির উদ্দিন চৌধুরীকে মরণোত্তর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেট ভুক্তির সুপারিশ করা হয়। এছাড়া একই সভায় তার মেয়ে সুফিয়া বেগমকে মরণোত্তর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনা হিসেবে তালিকাভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।
অন্যদিকে, যাচাই-বাছাই ছাড়াই মনির উদ্দিন চৌধুরীর পুত্র সামস উদ্দিনকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত করা হয়। যা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধের অপমান করা হয়েছে। এছাড়া সাবেক কমান্ডার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকায় থাকলেও ২০০০ সাল থেকে বিনা কারণে সরকারি সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়।
অবিলম্বে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়া রাজাকার ও বীরাঙ্গনার নাম বাতিল এবং সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের সুযোগ সুবিধা প্রদান করা না হলে কঠোর আন্দোলন করার হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন মুক্তিযোদ্ধারা।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় জেলা কিংবা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কমিটিকে মূল্যায়ন না করেই এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। যদি মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা থেকে রাজাকার ও পরিবারের সন্তানদের নাম বাতিল করা না হয়, তাহলে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীসহ কর্মকর্মদের বিরুদ্ধে অবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান, সাবেক এমপি এমদাদুল হক, পৌর মেয়র ইকরামুল হক, পীরগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কৃষ্ণ মোহন রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক বিপ্লবসহ প্রমুখ।
সান নিউজ/এসএ