নিজস্ব প্রতিনিধি, সাভার : নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের জিরানীবাজার থেকে বাইপাইল পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার সড়কে যানজটে আটকা পড়েছে শ্রমিকসহ যাত্রীরা। এ ছাড়া টঙ্গী-আশুলিয়া ইপিজেড সড়কের বাইপাইল থেকে নরসিংহপুর পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার (১ আগস্ট) সরেজমিনে মহাসড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
গাইবান্ধা থেকে কর্মস্থলে ফেরা স্বপন জানান, রাতে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর থেকে বাসে কর্মস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছি। মাঝে খুব বেশি যানজটে পড়তে হয়নি। তবে টাঙ্গাইলে একটু যানজটে পড়তে হয়েছিলো। কিন্তু জিরানী থেকে শ্রীপুরে আসতে প্রায় এক ঘণ্টার মতো লেগেছে। এখানে প্রচুর যানজট। সারারাত জেগে থেকে এখন চরম বিরক্তি লাগছে। মনে হচ্ছে, বাসায় পৌঁছাতে পারলে বাঁচি।
সিরাজগঞ্জ থেকে ডিইপিজেড কারখানায় কাজে যোগদানের জন্য বাসে উঠেছেন পোশাক শ্রমিক ইয়াসিন। তিনি জানায়, খুব ভোরে বের হয়েছি। ৮টার আগে যাতে অফিসে যোগদান দিতে পারি এই ভেবে। কিন্তু যানজটের কারণে পৌঁছাতে পারলাম না। এখন আগামীকাল থেকে কাজে যোগ দিতে হবে।
বাসচালক মাসুম বলেন, সবাই একসঙ্গে ফিরতে শুরু করেছে। তাই একটু যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া সড়কে ট্রাকের সংখ্যা অনেক। জিরানীবাজার থেকে বাইপাইল হয়ে জামগড়া আসতে সময় লাগলো দুই ঘণ্টার বেশি। ১২টার মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে হবে। এ জন্য অনেকে বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছেন গাড়ি। তাছাড়া সবাই দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে চাচ্ছেন। তবে গাড়ির চালকদের সুবিধার্থে সময় আরও বাড়ানো উচিত ছিলো।
সাভার ট্রাফিক পুলিশের অ্যাডমিন আব্দুস সালাম সান নিউজকে জানায়, সড়কে যানজট নিরসনে কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশ। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই যানজট নিরসন হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করছি।
সান নিউজ/এসএ