নিজস্ব প্রতিবেদক : রফতানিমুখী শিল্পের শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টদের কাজে যোগদানের সুবিধার্থে রোববার (১ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন চালু রয়েছে। শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফিরতে টাঙ্গাইল মহাসড়কে প্রায় ২০ কিলোমিটার অংশে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে চালক ও যাত্রীরা।
রোববার সকাল থেকে মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব, এলেঙ্গা, পুংলি, রাবনা বাইপাস এলাকায় ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। এসব এলাকার কিছু কিছু অংশে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টাঙ্গাইল মহাসড়কে পর্যাপ্ত পরিমাণে গণপরিবহন নেই। এ কারণে কর্মজীবী মানুষ খোলা ট্রাক, পিকআপ, প্রাইভেটকার, সিএনজি ও মোটরসাইকেলযোগে গাদাগাদি করে গন্তব্যে যাচ্ছেন। স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি টাকা ভাড়া দিচ্ছেন তারা। আর গাদাগাদি করে যাওয়ার জন্য মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। এতে বাড়ছে করোনা ঝুঁকি। তবে, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে।
মূলত রোববার থেকে রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দিচ্ছে সরকার। এমন ঘোষণায় শনিবার ঢাকামুখী মানুষের ঢল নামে। শ্রমিকদের কর্মস্থলে পৌঁছার জন্য গণপরিবহন ও লঞ্চ রোববার দুপুর পর্যন্ত চালু রাখার ঘোষণা দেয়া হয়। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ফলে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থেকে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় থেমে থেমে পরিবহন চলাচল করছে।
সান নিউজ/এমবি/এনএম