সারাদেশ

পাখিদের আসা-যাওয়া ভাবিচা গ্রামে

নিজস্ব প্রতিনিধি, নওগাঁ : দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সারা বছর পাখিদের আসা-যাওয়া এ গ্রামে। পাখিদের অবিরাম কিচিরমিচির শব্দ কানে আসবে নিয়ামতপুরের ভাবিচা গ্রামে। নিয়ামতপুর সদর থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে ভাবিচা গ্রাম। সবুজ পাতার ওপর পাখা গুটিয়ে বসে আছে সাদা-কালো বাহারি পাখি। দূর থেকে দেখে মনে হবে যেন সাদা ফুল ফুটেছে। বাতাসের দোলায় তাদের পাখা ঝাপটানো মোহনীয় এক তাল তৈরি করে। আশপাশের প্রায় প্রতিটি গাছেই রয়েছে এমন পাখির ঝাঁক। দেখে মনে হয় যেন এক পাখির রাজ্য।

অনেক পাখিপ্রেমী দূরদূরান্ত থেকে এসব পাখি দেখতে ভিড় জমান। সবচেয়ে বেশি দেখা মেলে শামুকখোল পাখির। সাধারণত জ্যৈষ্ঠের মাঝামাঝি তারা আসে এবং অগ্রহায়ণের প্রথম সপ্তাহে চলে যায়। পাড়ি দেয় অন্য দেশে। একসময় ভাবিচা গ্রামের শ্যামল ডাক্তারের বাড়ির পাঁচ-ছয়টি কড়ই গাছে বাসা করে বসবাস করতো শামুকখোল।

কিন্তু ২০১৯ সালে গাছগুলো কেটে ফেলায় পাখিগুলো অসহায় হয়ে পড়ে। তবু তারা স্থান ত্যাগ করেনি। নিয়ামতপুর-মান্দা সড়কের ধারে নিম, কড়ই, তেঁতুল গাছে বাসা বানিয়ে বসবাস শুরু করে। এখন ভাবিচা গ্রামজুড়ে বিভিন্ন পাখির বাস। পাখির অভয়ারণ্য তৈরির জন্য গাছে মাটির হাঁড়ি বেঁধে রাখেন গ্রামবাসী।

ওই গ্রামের বাসিন্দা সুশান্ত কুমার বলেন, ভাবিচায় বড় বড় গাছ থাকায় পাখির অভয়ারণ্য তৈরি হয়েছে। গ্রামের সবাই মিলে পাখি শিকারিদের বাধা দেন। তাই পাখিগুলো এখানে স্বচ্ছন্দবোধ করে। রাস্তার ধারে তাদের বসবাস। তারা মলত্যাগ করলে অনেক মানুষের গায়ে পড়ে। তবু পরিযায়ী পাখি গ্রামে এসেছে বলে সবাই মেনে নেয়।

ওই গ্রামের আরও কয়েকজন বলেন, প্রশাসনের সহযোগিতায় ভাবিচা গ্রামে একটি পাখি সংরক্ষণ কমিটির প্রয়োজন। কমিটির মাধ্যমে ‘পাখি শিকার করবেন না’, ‘পাখি মারবেন না’, ‘পাখিরাও আমাদের মতো বাঁচতে চায়’, ‘পাখি আমাদের পরম বন্ধু’, ‘তাদের আগলে রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে’ ইত্যাদি প্রচার করলে এ পাখির অভয়ারণ্য অনেক দিন থাকবে।

ভাবিচা গ্রামের সবুজ সরকার বলেন, আমরা পাখি রক্ষার জন্য গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার দিয়ে রেখেছি, যেন কেউ শিকার করতে না পারে। আমরা চাই পরিযায়ী পাখি এখানে নিরাপদে থাকুক। কেননা শামুকখোল বিষাক্ত পোকামাকড় খেয়ে কৃষকের অনেক উপকার করে। শামুকখোল সাধারণত এখানে প্রজননের জন্য আসে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়া মারিয়া পেরেরা বলেন, সবুজ প্রকৃতির বুকে সুশোভিত গাছের ডালে ডালে পাখিগুলোর দ্বিধাহীন অবাধ বিচরণ এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। পাখিগুলোর আগমনে এলাকাবাসীও অত্যন্ত খুশি। পাখিগুলো যেন কেউ শিকার করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে। অতিথি পাখি যেভাবে আসছে তা অব্যাহত থাকলে গ্রামটি সারা দেশে পাখির গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পাবে; যা উপজেলার গৌরব বয়ে আনবে। স্থানটিকে পাখির অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে তুলতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

সান নিউজ/এসএ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

সবজির বাজারে স্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে কমেছে পেঁয়াজ, সবজি...

স্বামীকে মৃত দেখিয়ে মামলা, নারী আটক

জেলা প্রতিনিধি : সাভারের আশুলিয়ায় জীবিত স্বামীকে বৈষম্যবিরোধ...

বৈষম‌বিরোধী আন্দোলনে বেঁচে ফেরার আশা করেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পতন আন্দোল&zwnj...

বড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন পূজা 

বিনোদন ডেস্ক: ঢাকাই চিত্রনায়িকা ও মডেল পূজা চেরি ডজনখানেক ছব...

ইসলামী ব্যাংকের সাথে হাব-এর মতবিনিময়

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর উদ্যোগে হ...

টিভিতে আজকের খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিদিনের মতো আজ শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেশ কি...

শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

সান নিউজ ডেস্ক: প্রতি সপ্তাহের একেক দিন বন্ধ থাকে রাজধানীর ব...

শেখ হাসিনাসহ ৬১ জনের নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জে আদালতের নির্দেশে সাবেক প্রধা...

গুমের সঙ্গে জড়িতরা পার পাবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বের কোথাও গুমের সঙ্গ জড়িতরা পার পায়নি...

বাংলাদেশিদের পাঁচ দেশ ভ্রমণে সতর্কতা

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বের ৫ দেশে যেতে চাওয়া বাংলাদেশিদের জন...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা