নিজস্ব প্রতিবেদক:
সারা দেশে মোট ১ হাজার ৭৫৬ জন পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬২ জন পুলিশ সদস্যের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
গত শনিবার (৯ মে) মোটের এই সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৫০৯ এবং পরের দিন রবিবার (১০ মে) ছিল ১ হাজার ৫৯৪ জন। তবে পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র বলছে, প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও মাঠ পর্যায়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।
এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন সাত পুলিশ সদস্য। কোয়ারেন্টিনে থাকা পুলিশের সংখ্যাও প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সদস্যই রয়েছেন ৮১০ জন। রবিবার এই সংখ্যা ছিল ৭৪৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যই বেশি।
ডিএমপি সূত্র জানিয়েছে, করোনায় মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ছাড়াও তাদের দুইজন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ও একজন সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পদমর্যাদার কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়েছেন।
সারা দেশের পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের তথ্য উপাত্ত থেকে জানা গেছে, পুলিশে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে আরও ১ হাজার ১০৩ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসায় কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে ৪ হাজার ৮০৩ জনকে। আর এ পর্যন্ত ১৬৫ জন পুলিশ সদস্য সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র বলছে, পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদের নির্দেশে করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতকল্পে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বেসরকারি ইমপালস হাসপাতাল আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এরিমধ্যে সেখানে চিকিৎসা শুরু হয়েছে। আর ছয়টি বিভাগীয় শহরে হাসপাতাল ভাড়া করে সেখানেও প্রয়োজনীয় সকল সুবিধা যুক্ত করা হচ্ছে। আক্রান্ত সদস্যদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন আইজিপি।
এ ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে ইউনিট কমান্ডারদের সঙ্গে কথা বলছেন আইজিপি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন সদস্যদের খোঁজ খবর নিতে উচ্চতর পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দ্বারা মনিটরিং কমিটিও করা হয়েছে।