নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজার জেলায় টানা তিনদিনের প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে কক্সবাজার সদর, রামু, চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী, কুতুবদীয়া, উখিয়া, টেকনাফ ও নবগঠিত ঈদগাঁহ উপজেলার ৪১টি ইউনিয়নের ৪১৩টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এখনো পানিবন্দি অবস্থায় চরম দুর্ভোগে আছেন কয়েক লাখ মানুষ।
এছাড়াও গত মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) ও বুধবার (২৮ জুলাই) দু’দিনে পাহাড় ধস ও ঢলের পানিতে ভেসে জেলার টেকনাফ, উখিয়া, মহেশখালী, ঈদগাঁও উপজেলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২২ জন। এদের মধ্যে পাহাড় ধসে মারা গেছেন ৫ রোহিঙ্গাসহ ১৩ জন।
চকোরিয়া থানার রেদওয়ান হাফিজ বলেন, চকোরিয়া থানার ১৮টি ইউনিয়ন পরিষদের প্রায় সব কটিতেই মানুষ পানিবন্দি। জেলাটির ২ থেকে তিন লাখ মানুষের জীবন কাটছে চরম কষ্টে। তিনি বলেন, মাতামহুরি নদীতে বেরিবাধ না দিলে এখানকার বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না।
তিনি জানান, তার বাড়ির উঠানেও পানি। নিজেদের স্বাভাবিক কাজ কর্মও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী জানান, কক্সবাজার জেলার দুই প্রধান নদী বাঁকখালী ও মাতামুহুরী নদীর পানি প্রবাহ সাগরে জোয়ার চলাকালে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অনেক জায়গায় বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে পড়ছে। যে কারণে বাড়ি-ঘর বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে।
সান নিউজ/এফএআর