নিজস্ব প্রতিবেদক, মুন্সীগঞ্জ: সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। জেলা শহর মুন্সীগঞ্জে চলছে ঢিলেঢালা লকডাউন। শুধু শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের মিনারা মসজিদ সংলগ্ন কাটাখালী -কাচারী সড়কেই বেশী কড়াকড়ি পুলিশের। মুক্তারপুর, রিকাবীবাজার থেকে অবাধে শহরে ঢুকছে মিশুক ও অটোরিকশা। মুক্তারপুর সেতু বা ষষ্ঠ বাংলাদেশ- চীন মৈত্রী সেতুর পূর্ব পাশে যানবাহনের জটলা প্রতিনিয়ত লেগে থাকতেও চোখে পড়ছে।
ধলেশ্বরী নদীর পাড়ের সড়ক ও জোড়পুকুর,পেট্রোলপাম্প সড়ক দিয়ে সুপার মার্কেটে বিনা বাধায় প্রবেশ করছে যানবাহন। এ সড়ক গুলোতে চেক পোস্ট থাকলের আইন-শৃঙ্খলা বাহীনির কাউকে দেখা যায়নি। এই লকডাউনেও সিপাহীপাড়া মোড়ে যানজট দেখা গেছে। এদিকে গত'দুদিন মুন্সীগঞ্জ শহরের পুরাতন প্রধান সড়কের দু'পাশের কাপড়ের দোকানগুলির শার্টার অর্ধাংশ খোলা ছিল। ভীরও ছিল ক্রেতাদের।
আজ (২৮ জুলাই) বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে লকডাউনের মতো মনে হয়নি। সাধারণ খোলা দিনের মতো ভীর লক্ষ্য করা গেছে। পুলিশের নজরদারীও তেমন চোখে পড়েনি ঈদের পর কঠোর লকডাউনের ষষ্ঠ দিন ছিল।
লকডাউনে স্বাস্থ্য বিধি সম্পর্কে সিভিল সার্জন ডা: মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, মুন্সীগঞ্জে দিন দিন করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন এ জেলা থেকে ৪০০ বেশী নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকা যাচ্ছে। যে ভাবে দোকানপাট মার্কেট খোলা হচ্ছে, জনসমাগম হচ্ছে তাতে মুন্সীগঞ্জের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে৷ জনগণকে অবশ্যই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।
এবিষয়ে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) সুমন দেব বলেন, প্রশাসন সরকার ঘোষিত শতভাগ লকডাউন কার্যকর করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া কাউকে শহরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছেনা। যারা শহরে ঢুকছেন তাদের অধিকাংশই রোগী। প্রেসক্রিপশন দেখালে তবেই ছাড়া হয়৷ পুলিশবাহিনী একাধিক চেক পয়েন্টে মিয়মিত অবস্থান করে চেক করছে৷
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মো. নোমান হোসেন বলেন, মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ নজরদারী করছে। জনগণকে সচেতন করতে মাইকিং, ইমামদের মাধ্যমে মসজিদে মুসল্লিদের সচেতন লিফলেট ব্যানার সবই করছি। সেই সাথে শিমুলিয়া ঘাটসহ প্রতিটি নির্দিষ্ট পয়েন্টে আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। প্রতি উপজেলায় ৩ টি করে৷ আর জেলা সদরে ৫ টি মোবাইল কোর্ট হচ্ছে প্রতিদিন।
সাননিউজ/জেআই