নিজস্ব প্রতিনিধি, লালমনিরহাট : লালমনিরহাটের নুর ইসলামের (৪০) বাড়িতে বিয়ের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) থেকে অনশন শুরু করেন এক কলেজছাত্রী (২৩)। তিনি বলেন নুর ইসলাম তার একাধিক বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন। পরে তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে জোর করে প্রেম করেছেন। কিন্তু এখন আর বিয়ে করতে চাইছেন না।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) দিবাগত গভীর রাতে তাকে বিয়ে করেন তিনি। ওই কলেজছাত্রীর অনশন শুরুর দুই দিনের মাথায় বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলে নিয়েছেন ইউপি সদস্য নুর ইসলাম।
প্রতিবেশীরা জানান, উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর নুর ইসলাম। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে প্রায় চার বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীর বিয়ের সম্বন্ধ আসলে নুর ইসলাম বিভিন্ন কথা বলে মেয়েটির বিয়ে ভেঙে দেয়।
তাকে বিয়ে করবে কথা দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তাকে বেড়াতেও নিয়ে যেতেও দেখা যায়। তবে কিছুদিন আগে থেকে মেয়েটি নুর ইসলামকে বিয়ের কথা বললে তিনি টালবাহানা শুরু করেন। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইউপি সদস্যের বাড়িতে গিয়ে উঠে। এসময় ইউপি সদস্য নুর ইসলাম বাড়ি থেকে সরে পড়েন।
বুড়িমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাইদ নেওয়াজসহ এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ইউপি সদস্য নুর ইসলামকে বুঝিয়ে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ফলে দ্বিতীয় দিনেও অনশন করে মেয়েটি।
অনশনরত কলেজ ছাত্রী বলেছিলেন, ‘আমার বিয়ের প্রস্তাব আসলে উনি (নুর ইসলাম) ভেঙে দেয়। বাধ্য হয়ে তার সঙ্গে সম্পর্ক করি। আমার জীবন নষ্ট করে পরে আর ধরা দেয় না। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বাড়িতে আসতে বলে এখন পালিয়েছে। আমি তাকে বিয়ে করতে চাই।’
বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাইদ নেওয়াজ বলেন, অনেক চেষ্টা পর শুক্রবার রাতে ইউপি সদস্য নুর ইসলামের সঙ্গে ওই কলেজছাত্রীর বিয়ে দেয়া হয়েছে।
সান নিউজ/এসএ