নিজস্ব প্রতিনিধি,পাবনা: পাবনায় বিয়ের দুই বছর পরও স্ত্রীর স্বীকৃতি না পাওয়ায় স্বামী রোমিও রাহান কনকের বাড়িতে অনশন করেছেন রাশিদা খাতুন নামে এক তরুণী।
বৃহস্পতিবার থেকে অনশন শুরু করেন তিনি। ওই সময় স্বামী কনক বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে শুক্রবার রাতে রাশিদাকে স্বীকৃতি দেয় কনকের পরিবার।
ঘটনাটি পাবনা সদর উপজেলার সড়াডাঙ্গী গ্রামের। অভিযুক্ত রোমিও রাহান কনক ওই গ্রামের আশরাফ আলী লালুর ছেলে।
অনশনকারী রাশিদা খাতুন সাঁথিয়া উপজেলার আর-আতাইকুলা ইউনিয়নের বিলকুলা গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে। তিনি পাবনা মহিলা কলেজের সম্মান তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।
তিনি বলেন, দুইবছর আগে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে রেজিষ্ট্রি করে আমাকে বিয়ে করে কনক। ২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ঢাকায় সংসারও করেছি। এর আগে, আমরা দীর্ঘদিন প্রেম করেছি।
রাশিদা বলেন, বিয়ের পর থেকেই কনককে বলি আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে যেতে। কিন্তু সে নানা টালবাহানা করতে থাকে। নিরুপায় হয়ে বৃহস্পতিবার কনকের বাড়িতে চলে আসি। আমাকে দেখেই কনক বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। ননদসহ অন্যরা আমাকে প্রথমে গলা ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়। তবে আমি চলে যাইনি, স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাই।
অভিযুক্ত কনকের এক প্রতিবেশী জানান, শুক্রবার রাতে আলোচনা শেষে পারিবারিকভাবে বিষয়টির সমাধান হয়েছে। রাশিদাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন কনক, তাকে নিয়ে ঢাকায় যাবেন।
আতাইকুলা থানার ওসি জালাল উদ্দিন জানান, পুলিশের কাছে এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ আসেনি।
সাননিউজ/এএসএম