সারাদেশ

ইলিশ পেয়ে খুশি মেঘনার জেলেরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী : নিষেধাজ্ঞা শেষে মেঘনা নদীতে মাছ শিকারে নেমেছে উপকূলের জেলেরা। ঝাঁকে ঝাঁকে পাচ্ছে রুপালি ইলিশ । এতদিন পর কর্মে ফিরে আশানুরূপ মাছ পেয়ে খুশি তারা।

শনিবার (২৪ জুলাই) সকালে নোয়াখালীর হাতিয়া ও কোম্পানীগঞ্জ উপকূলের হাটগুলোতে ইলিশ মাছে সয়লাব হয়ে যায়। দামও ছিল হাতের নাগালে।

এর আগে ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধির জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত নদীতে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার। ওই নিষেধাজ্ঞা শেষে শুক্রবার (২৩ জুলাই) মধ্যরাত থেকে জেলেরা নদীতে আবারও মাছ ধরা শুরু করেছেন।

নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর নদীতে মাছ শিকারে নামতে পারায় উপজেলার জেলেপল্লীতে আনন্দের জোয়ার বইছে, হাসি ফুটেছে জেলে পরিবারগুলোতেও।

একাধিক জেলে বলেন, নদী উত্তাল ও আবহাওয়া অধিদফতরের সিগন্যাল থাকায় নদীতে আমরা বেশি দূর যেতে পারিনি। তবুও আজ সকাল পর্যন্ত আমাদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়েছে। এবার মাছের আকার তুলনামূলক ছোট। এরপরও ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ায় আমরা খুশি।

হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়ন জেলে সমিতির সভাপতি জবিউল হক বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে জেলেরা নদীতে মাছ শিকার করতে পারায় তাদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে। জেলে পরিবারেও উৎসবের আমেজ বিরাজ। ঘাটে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।’

কোম্পানীগঞ্জের জেলে মনতোষ দাস জানান, মুছাপুর ক্লোজার ঘাট ও চরএলাহীর চরলেংটা ঘাটে প্রচুর ইলিশ এসেছে। চাপরাশিরহাট, পেশকারহাট, বামনী বাজার, বাংলাবাজার, বসুরহাটসহ সব বাজারে মাইকিং করে ইলিশ মাছ বিক্রি করা হয়েছে।

এদিকে বসুরহাটের মাছের আড়তে ৩০০, ৫০০ ও ৭০০ টাকা কেজি দরে বিভিন্ন আকারের ইলিশ বিক্রি করতে দেখা গেছে। বিধিনিষেধের কারণে ক্রেতা কম থাকায় বাজারের আশপাশে বেশ কয়েকটি স্থানে মাইকিং করতে শোনা গেছে।

হাতিয়া উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা অনিল চন্দ্র দাস বলেন, ‘নোয়াখালীর উপকূলে কোনো সতর্ক সংকেত নেই। বৈরী আবহাওয়ায় গভীর সমুদ্রে না গিয়ে কাছাকাছি স্থানে মাছ ধরতে বলা হয়েছে।’

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. মোতালেব হোসেন বলেন, ‘ইলিশ মাছ বড় হতে দেয়ার লক্ষ্যেই এ নিষেধাজ্ঞা ছিল। এছাড়া গভীর সমুদ্রে যেসব মাছ উৎপাদন হয় তার প্রজননের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা কাজে এসেছে বলে মনে হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ নিষেধাজ্ঞার প্রধান উদ্দেশ্য ইলিশসহ গভীর সমুদ্রের মাছ নিরাপদে মা মাছে রূপান্তর করা। যাতে তারা নিরাপদে নদীতে ডিম ছাড়তে পারে। আমরা ধারণা করছি ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য সফল হয়েছে।’

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান বলেন, ‘ইলিশ মাছের বংশ বৃদ্ধির জন্য এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। নোয়াখালী জেলায় মোট ৪০ হাজার জেলে রয়েছে। এর মধ্যে সমুদ্রে মাছ ধরেন ৯ হাজার ৮৬৪ জন জেলে। নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে তাদের প্রত্যেককে ৮০ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে।’

সাননিউজ/এমএইচ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সংহতি জানালো মুক্তিজোট

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে সোমবার (৭ এপ্রিল) বিশ্বব্যাপী হরতাল পালনের আহ্বান জ...

কুমিল্লায় গোমতী নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন: ৬ ট্রাক জব্দ, ১ জনের জেল

কুমিল্লার গোমতী নদীর চরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ০৬...

সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতাসহ আহত চার

বগুড়ার রেলওয়ে এলাকায় ছাত্রদল নেতার ওপর সন্ত্রাসী হ...

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলনে কৃষকরা খুশি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। এসব মিষ্টি কুমড়া যাচ্ছে দেশে...

গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা; ওসি-এসআইসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সুনির্দিষ্ট কোন মামলা ছাড়াই এক গৃহবধূকে (২৫) আটক করে ধর্ষণচেষ্টা ও চাঁদাবাজির...

টিভিতে আজকের খেলা

প্রতিদিনের মতো আজ সোমবার (৭ এপ্রিল) বেশ কিছু খেলা প্রচারিত হবে টেলিভিশনের পর্...

গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে সরব বাংলাদেশ, ক্লাস-পরীক্ষা হচ্ছে না বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে

গাজায় চলমান ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানির প্রতিবাদে বৈশ্বিক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে যুক্...

৭ এপ্রিল: ইতিহাসের এই দিনে

আজ সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫। ২৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দে...

তুচ্ছ ঘটনায় রাজবাড়ীতে কিশোর হত্যা,খুনের রহস্য উদঘাটন

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার হরিণবাড়িয়া গ্রামে বালু উ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা