মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: রাত পোহালেই সারাদেশে পালিত হবে ঈদুল আজহা। কঠোর লকডাউন শিথিলের পর থেকেই পরিববার-স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে গ্রামের বাড়িতে ছুটছেন মানুষ। মঙ্গলবার (২০ জুলাই) দিন পেরিয়ে রাত নামলেও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ কমছে না। লঞ্চ চলাচল বন্ধের পর ফেরিতে ভিড় করছেন যাত্রীরা।
মঙ্গলবার রাত আটটায় পদ্মায় লঞ্চ চলাচল বন্ধের পর ফেরিতে বাড়ে যাত্রী সংখ্যা। এসময় ঘাটে নদী পারের অপেক্ষায় ছিল তিন শতাধিক ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়াও শতশত পণ্যবাহী যান। এছাড়াও ঘাটের অভিমুখে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতেও যানবাহনের দীর্ঘ সারি। পদ্মায় তীব্র স্রোতে নৌরুটে ফেরি পারাপারে বেশি সময় লাগছে। এতে ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় পলণ্যবাহী ও ব্যক্তিগত গাড়ি এবং যাত্রীরা।
ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বর্তমানে ১৫টি ফেরি সচল রয়েছে। আর দিনভর সচল ছিল ৮৬টি লঞ্চ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের শিমুলিয়াঘাটের ব্যবস্থাপক মো. ফয়সাল বলেন, রাত আটটা থেকে লঞ্চ বন্ধে ফেরিতে যাত্রীরা আসছে। ঘাটে এখনো তিন শতাধিক ব্যক্তিগত গাড়ি পারের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া পণ্যবাহী গাড়িও আছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের শিমুলিয়া লঞ্চঘাটের কর্মকর্তা মো. সোলাইমান বলেন, যাত্রী চাপ আজকে সবচেয়ে বেশি। যাত্রী পারাপারে দিনভর ৮৬টি লঞ্চ সচল ছিল। সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল করেছে। প্রতিটি লঞ্চ পাঁচ-ছয়বার করে ট্রিপ দিয়েছে। আনুমানিক ৫০ হাজার ঈদ যাত্রী লঞ্চ যোগে শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ও মাঝিরকান্দি রুটে পদ্মা পাড়ি দিয়েছে।
সাননিউজ/এমআর