নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ : ঈদকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে কর্মস্থল ছাড়ছেন অসংখ্য মানুষ। যার ফলে চাপ পড়েছে উত্তরবঙ্গের ২২ জেলার দ্বারপ্রান্ত সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে। থেমে থেমে চলছে গাড়ি আবার কোথাও যানজট । এর মধ্য থেমে থেমে বৃষ্টি যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানের যাত্রীদের কষ্ট কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। স্বজনদের কাছে যাওয়ার আকুতি নিয়ে ঈদ করতে কাকভেজা হয়ে বাড়ি ফিরছেন তারা।
মঙ্গলবার (২০ জুলাই) দুপুরে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু গোলচত্বরের ২২ কিলোমিটার মহাসড়কে এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, গাড়ি থেমে থেমে চলায় বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছেন ট্রাক-পিকআপ ভ্যানের যাত্রীরা। কিছু কিছু ট্রাকে ত্রিপল টানিয়ে নিচে অবস্থান করছেন যাত্রীরা। আবার অনেকে কাকভেজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।
ঢাকা থেকে বগুড়াগামী ট্রাকযাত্রী বৃদ্ধ আব্দুস সালাম বলেন, ‘ঢাকায় সামান্য বেতনে একটা কোম্পানিতে চাকরি করি। ছেলে-মেয়ে ও পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়িতে যাচ্ছি। ঢাকা এলাকায় দীর্ঘ যানজট পেরিয়ে সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে ধীরে ধীরে গাড়ি চলছে। এখানে অনেকক্ষণ আটকে আছি। এরওপর বৃষ্টি। বৃষ্টিতে ভিজে গেছি। এতো কষ্ট করে বাড়িতে গিয়ে ঈদ করতে পারব এতেই আনন্দ।
সুমাইয়া নামে আরেক যাত্রী বলেন, ‘যানজট ও বৃষ্টি সব মিলে খুব কষ্টের মধ্যে আছি। কখন যে বাড়িতে পৌঁছাব বুঝতে পারছি না।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান আলী বলেন, ‘ঈদযাত্রার শেষ দিনে মহাসড়কে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ বেশি। এর মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার ট্রাকে করে ঘরেফেরা মানুষ বিপাকে পড়েছেন। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ নিরলসভাবে মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করছে।’
অন্যদিকে কড্ডা এলাকায় দায়িত্বরত কর্মকর্তা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মো. আব্দুল গণি জানান, কড্ডা এলাকায় মাঝে মাঝে একটু ধীরগতি থাকলেও যানজট নেই।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসাদ্দেক হোসেন জানান, সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ থাকলেও যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। মুলিবাড়ি, কড্ডা ও নলকা সেতু এলাকায় কিছুটা ধীরগতি রয়েছে।
সান নিউজ/এসএ