নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করার জন্য কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল হচ্ছে গাজীপুরে। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজে চালু হওয়া ওই হাসপাতালে পিসিআর ল্যাবটি স্থাপন করা হচ্ছে।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই এখানে শুরু হবে মরণঘাতী এ ভাইরাসের পরীক্ষা।
এ বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল জানান, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রতিষ্ঠিত কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল গত ৩০ এপ্রিল থেকে চালু হয়েছে। ১শ’ শয্যার এই হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও এই হাসপাতালে ১০টি আইসিইউ শয্যা ও চারটি ভেন্টিলেটর রয়েছে। তবে মরণঘাতী করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য এখানে কোনও মেশিন বা ল্যাব না থাকায় চিকিৎসক ও রোগীসহ স্থানীয়দের নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ল্যাব স্থাপনের বিষয় নিয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। সম্প্রতি গাজীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) এসএম তরিকুল ইসলাম এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি লিখেছেন।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) এসএম তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে কথা বলেছেন। গাজীপুরের কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে একটি অত্যাধুনিক পিসিআর ল্যাব রয়েছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য ওই ল্যাবের পিসিআরসহ আনুষঙ্গিক মেশিন ও যন্ত্রপাতি এ হাসপাতালে স্থাপনের জন্য অনুমোদন নিতে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ইতোমধ্যে যোগাযোগ করে সম্মতি আদায় করেছেন। এছাড়াও করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে কেবিনেট এনে তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজের কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে ল্যাব স্থাপনের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে গাজীপুরের হাসপাতালে এ ল্যাব স্থাপন করা সম্ভব হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পোশাক শিল্প মালিকদের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের করোনা পরীক্ষার জন্য কয়েকটি পিসিআর ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি গাজীপুরের তেতুঁইবাড়িতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে এ ধরনের একটি ল্যাব স্থাপনের জন্য।’
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. খলিলুর রহমান জানান, এখানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পজিটিভ রোগীদের ভর্তি করা হচ্ছে। তবে সুযোগ সুবিধা না থাকায় তাদের ফলো-আপ চিকিৎসার জন্য ঢাকার আইইডিসিআরে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। বর্তমানে এখানে শুধু কোভিড-১৯ রোগীদের সিমটোমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যেমন– শ্বাসকষ্ট, কাঁশি, জ্বর, ব্যথার মতো রোগের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। করোনা লক্ষণ নিয়ে আসা রোগীদের নমুনা সিভিল সার্জনের তত্ত্বাবধানে অন্যত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে। এখানে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে না।
সান নিউজ/ আরএইচ