নিজস্ব প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে জবরদখলকৃত জমি উদ্ধার ও সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা।
সোমবার (১৯ জুলাই) দুপুর ১২টায় কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান শুকদেব বর্মণ।
ভুক্তভোগী শুকদেব বর্মণ বলেন, সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মধ্য কুমরপুর মোল্লাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত: গঙ্গারাম বর্মণের পুত্র শুকান্ত বর্মণ। ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর কুড়ারপাড় গ্রামের গাজিউর রহমান ও তার ভাই মমিনুল ইসলাম, তাদের স্ত্রী শাহনাজ বেগম ও আয়শা আক্তারসহ রোকেয়া বেগম ও পারুল বেগম লাঠিসোটা নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় শুকান্ত বর্মণের স্ত্রী সাবেত্রী রানীর উপর হামলা চালায়। এসময় তাকে মারপিট ও ভয়ভীতি দেখিয়ে শুকান্তর ভিটা সংলগ্ন জমি বেড়া দিয়ে জবরদখল করে। এনিয়ে ভোগডাঙ্গা ইউনিযন পরিষদে চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সালিশ বৈঠকে দলিলপত্রাদি যাচাই করে শুকান্ত বর্মণের পক্ষে রায় দেন।
রায় অমান্য করে গত ৩জুন দ্বিতীয় দফা সাবিত্রি রানীর উপর লাঠিসোটা ও ছুরি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আবারো হামলা চালায় মমিনুলরা। হামলায় গুরুতর আহত সাবেত্রী রানীকে প্রথমে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার নেন। ওইদিন রাতেই শুকান্ত বর্মণের পুত্র শুবদেব বর্মণ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এ অবস্থায় প্রাণের ভয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বলে শুকান্ত বর্মণ জানান।
তিনি বলেন, আমি পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। যে কোন সময় আমাদের প্রাণের উপর হামলা হতে পারে। তারা অত্যন্ত প্রভাবশালী। পুলিশ তাদের পক্ষে থাকায় বারবার আমাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা করা হচ্ছে। আমরা পরিবারের নিরাপত্তা ও জবরদখলকৃত জমি উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা চাই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা হিন্দু-বৈদ্য-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ছানালাল বকসী ও সাধারণ সম্পাদক অলক সরকার, পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রবি বোসসহ অন্যান্যরা।
সাননিউজ/ জেআই