গাজীপুর প্রতিনিধি:
রাজধানী ঢাকার অদূরে গাজীপুরের দুইটি গার্মেন্টস কারখানার ৪ শ্রমিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে এক পরিবারের বাবা ও মেয়ে এবং অন্য দুইজন প্রতিবেশী।
গত কয়েকদিন ধরে তারা কারখানায় কাজ করছিলেন। মঙ্গলবার (৫ মে) রাতে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় বাসিন্দা ও ইউপি মেম্বার তাদেরকে ভাড়া বাসা থেকে বের হতে নিষেধ করেন। বুধবার (৬ মে) তাদেরকে গার্মেন্টসে যেতে দেওয়া হয়নি। তারা সবাই হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
তাদের সবার বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার কাউকান্দি গ্রামে।
করোনায় আক্রান্ত এক নারী গার্মেন্টস কর্মীর ভাই জানান, গাজীপুর থেকে গেছেন শুনে এলাকার মানুষ ও প্রশাসন গত ২২ এপ্রিল তাদের নমূনা সংগ্রহ করে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখেন। এরমধ্যে গার্মেন্টস খোলার ঘোষণা দিলে গত ২৬ এপ্রিল গাজীপুর সদর উপজেলার ভাড়া বাড়িতে ফিরে আসেন। তারা ২৭ এপ্রিল ও ৩ মে থেকে কাজে যোগ দেন। মঙ্গলবার ডিউটি শেষ করে বিকেলে তারা সবাই বাসায় ফিরেন। রাত ১০টার পর স্থানীয় মেম্বার এসে জানান তার বাবা (৪৫) ও ছোট বোন (১৮) এবং প্রতিবেশী দুই নারী গার্মেন্টস কর্মী (৩০) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের ঘর থেকে বের হতে এবং গার্মেন্টসে যেতেও নিষেধ করে গেছেন। বুধবার কারখানার লোকজনও এসে কাজে যেতে নিষেধ করে গেছেন। তাই সবাই বাসাতে অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে করোনার কোন লক্ষণ নেই বলে দাবি করেন তিনি।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসেন জানান, "আক্রান্তরা সকলেই গাজীপুর থেকে গ্রামের বাড়িতে আসলে স্থানীয়দের চাপে তারা গত ২২ এপ্রিল তাদের নমুনা দিয়ে যায়। পরে মঙ্গলবার (৫ মে) বিকেলে করোনাভাইরাস পজিটিভ রিপোর্ট আসে। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের অবস্থান নিশ্চিত করতে গেলে জানতে পারি চারজন গত ২৬ এপ্রিল গাজীপুর চলে গেছে এবং তাদের কর্মস্থল গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘেরবাজার এলাকায় পোশাক কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছে। পরে আমরা গাজীপুর সদর উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া জন্যে সকল তথ্য সরবরাহ করেছি।"
সান নিউজ/আরএইচ