নিজস্ব প্রতিনিধি, ফরিদপুর : ফরিদপুরের সালথায় নুরুল ইসলাম নাহিদ (৩২) নামের স্থানীয় এক সাংবাদিককে গভীর রাতে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৭ জুলাই) দিবাগত রাত ২টার দিকে সালথা থানার নিয়ে যায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, একটি মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় আনা হয়েছে।
সাংবাদিক নুরুল ইসলামের বাড়ি উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের রঘুয়ারকান্দি গ্রামে। তিনি একই গ্রামের মজিবর রহমান ছেলে। তিনি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা টাইমসের সালথা উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন।
নাহিদের ছোট ভাই রবিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, শনিবার রাত ২টার দিকে সালথা থানা পুলিশের একটি দল প্রথমে তাদের বাড়িটি ঘেরাও করে ফেলে। এসময় পাশের ঘরের দিকে তাকিয়ে পুলিশ জানতে চায় ওই ঘরে কে থাকেন? রবিউল বলেন, তার ভাই সাংবাদিক নুরুল ইসলাম থাকেন। এসময় আমার ভাই নাহিদ ঘুম থেকে উঠে এলে পুলিশ তাকে বাইরে আসতে বলে। এসময় নাহিদ লুঙ্গি পরিহিত ছিলেন। তিনি প্যান্ট পরতে চাইলে পুলিশ তাকে সময় না দিয়ে ‘কথা আছে’ বলে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, গত ৫ এপ্রিল সালথায় তাণ্ডবের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নুরুল ইসলামকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
তিনি আরও বলেন, সালথায় গত ৫ এপ্রিল সহিংস ঘটনায় পুলিশ যে মামলাটি দায়ের করে ওই মামলার এক আসামির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নুরুল ইসলামের নাম এসেছে। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্যই তাকে নিয়ে আসা হয়েছে। নুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়নি।
সালথার সাংবাদিক আবু নাসের হোসেন বলেন, গত ৫ এপ্রিল সহিংস ঘটনার সময় তিনি, নুরুল ইসলামসহ কয়েকজন সাংবাদিক ইউএনও ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে উপজেলা কমপ্লেক্সের দোতলায় একই কক্ষে আটকা পড়েছিলেন। হামলাকারীরা যখন কমপ্লেক্স ভবনের নিচতলায় আগুন ধরিয়ে দেন তখন তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাইপ বেয়ে নিচে নেমে আসেন।
তিনি বলেন, ওই ঘটনায় নুরুল ইসলামকে হয়রানি করার কোনো সুযোগ নেই।
সান নিউজ/এসএ