নিজস্ব প্রতিনিধি, কক্সবাজার : কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় চোর অপবাদ দিয়ে দুই যুবককে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার(১৭ জুলাই) রাতে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। নির্যাতনের শিকার হাকিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবুল কাসেমের ছেলে আবছার (২২)। অপরজন একই এলাকার শাহ আলমের ছেলে নয়ন (১৬)।
রোববার ( ১৮ জুলাই) সকালে উখিয়া থানার পুলিশ চেয়ারম্যান সহযোগীতায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে।
স্থানীয়রা জানান, গত দুই সপ্তাহ আগে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সের পেছনের রাস্তা থেকে নির্যাতনকারী জাহাঙ্গীর ও আবদুস সালাম নামে দুই ব্যক্তি অজ্ঞাত ইয়াবা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১৪ হাজার ইয়াবা কেড়ে নেয়। ইয়াবা লুটের দৃশ্যটি নির্যাতনের শিকার আবছার ও নয়ন দেখে ফেলে পরবর্তী তা জনসম্মুখে বিষয়টা প্রকাশ করে।
এতে তাদের ওপরে ক্ষিপ্ত হয়ে গত বুধবার আবছার ও নয়নকে ধরে নিয়ে রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে বর্বর নির্যাতন চালায় ইয়াবা লুটকারী জাহাংগীর ও আবদুস সালাম। কিন্তু শনিবার নির্যাতনের ভিডিও প্রকাশের পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, আবছার ও নয়নকে রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করছে। নির্যাতন করতে করতে এক পর্যায়ে মাটিতে পড়ে গেলে জাহাঙ্গীরের বাবা মুফিজ উদ্দীন চৌধুরী ঘটনাস্থলে পৌঁছে। গুরুতর অবস্থায় পড়ে থাকা আবছারের কপালে লাথি মারে। নির্যাতিত অসহায় দুই যুবকের নিকট কোনো অভিযোগ না করার মর্মে স্ট্যাম্পে সই নেয়। অভিযোগ করলে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের হুমকি দেয়।
অভিযুক্তরা হলেন, পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী মগ পাড়ার বিল (হাকিম পাড়া) ৫নং ওয়ার্ডের মুফিজ উদ্দিন চৌধুরী ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৫), একই এলাকার মৃত নজু মিয়ার ছেলে আবদুস সালাম (৩৮)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, শনিবার রাতে আমি নির্যাতনের ভিডিও দেখার পর হতভম্ব হয়ে পড়ি। অভিযুক্তদের একজন আমার ভাতিজা জাহাঙ্গীরকে গত রাতে ও অপর অভিযুক্তকে ধরে রোববার সকালে উখিয়া থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করি। এসময় নির্যাতিতদের নিয়ে মামলা করার জন্য থানায় হাজির হয়েছি। এখন মামলার প্রক্রিয়াধীন।
সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহমদ মঞ্জুর মোরশেদ বলেন, চেয়ারম্যান সহযোগীতায় অভিযুক্তরা এখন পুলিশের কারাগারে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
সান নিউজ/এসএ