নিজস্ব প্রতিনিধি, শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ও পালেরচর ইউনিয়নের ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জিওব্যাগ ও জিগ টিউব ডাম্পিং করা শুরু হয়েছে। এরমধ্যে বুধবার থেকে বড়কান্দি ইউনিয়নে কাজ শুরু হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুমন বনিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানাগেছে, চলতি বর্ষা মৌসুম শুরুর সাথে সাথে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ও পালেরচর, বিলাসপুরের কাজিয়ারচর ও নাওডোবা ইউনিয়নের কিছু এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দেয়। ইতোমধ্যে ঐসব ইউনিয়নের বেশ কিছু পরিবারের বাড়ি-ঘর সহ ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
গৃহহীন হয়ে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলো। তারা বাপ-দাদার ভিটে মাটি ফেলে কোথাও দূরবর্তী জায়গায় উঁচু জমিতে ঘর বানিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন যাপন করছে। বিশেষ করে জুলাই মাস শুরুর সাথে সাথে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে বড়কান্দি ইউনিয়নের রঞ্জন ছৈয়াল কান্দি, খলিফা কান্দি ও দুর্গারহাট গ্রামের কিছু পরিবারের ঘর-বাড়ি সহ ফসলী জমি, মসজিদ, মাদ্রাসা পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন বিকে মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও দূর্গারহাট বাজার হুমকির মুখে রয়েছে।
তাই ঐসব এলাকার ভাঙ্গন রোধের জন্য শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড তাৎক্ষনিক ভাবে জিও ব্যাগ ও টিউব ডাম্পিং কাজ হতে নিয়েছে। ইতোমধ্যে মাঝিরঘাট জিরো পয়েন্টে ৪৫০ মিটার প্লাসাইটিং করে ২ হাজার ৬০০ ব্যাগ ডাম্পিং করেছে। কাজিরহাট ডুবলদিয়া এলাকায় ডান ও বাম তীরে ৩০০ মিটার এলাকায় ১ হাজার ৬০০ জিওব্যাগ ডাম্পিং প্রায় শেষ পর্যায়ে।
পৈলান মোল্যার কান্দি ৩০০ মিটার ২৪ হাজার জিওব্যাগ কাজ চলমান রয়েছে। কুন্ডেরচর ইউনিয়নের সিডারচর ও বাবুরচর ৬০০টি জিও টিউব ডাম্পিং করা হয়েছে। বিলাসপুরের কাজিয়ার চর স্কুলের নিকট ২০০ মিটার এলাকায় ৪ হাজার ৪০০ জিওব্যাগ ডাম্পিং কাজ চলমান রয়েছে। আর বড়কান্দি ২২৫ মিটার এলাকায় ১৭ হাজার ৪০০ জিওব্যাগ ডাম্পিং কাজ শুরু হয়েছে।
এব্যাপারে শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এম আহসান হাবীব বলেন, বড়কান্দি ও পালেরচর সহ জাজিরা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পদ্মানদী বেষ্টিত এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দেয়। ভাঙ্গন রোধের জন্য ইতোমধ্যে আমরা জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ডাম্পিং কাজ শুরু করেছি। আশা করছি ডাম্পিং কাজ শেষ হলে ভাঙ্গনের তীব্রতা কমে যাবে।
এব্যাপারে বড়কান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর আমাদের এলাকায় বর্সা মৌসুম শুরুতে ব্যাপক ভাবে ভাঙ্গন দেখা দেয়। চলতি বর্ষায় এই ইউনিয়নের বেশ কিছু পরিবারের বাড়ি-ঘর সহ ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। দুদিন যাবৎ শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড জিওব্যাগ ডাম্পিং কাজ শুরু করেছে। আমি এইসব এলাকায় নদী শাসন করে স্থায়ী বেড়িবাধ নির্মাণ করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।
সাননিউজ/ জেআই