কুদরতে খোদা সবুজ, কুষ্টিয়া: চোখে দেখেন না তাই চলার পথে বাশের লাঠি ভরসা তার। মাথায় বাদামের বস্তা আর হাতে কিছু কাগজে মোড়ানো বাদাম নিয়ে ছুটে বেড়ান সাদেক আলী। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মুসলিম নগর গ্রামের সাদেক আলী (৫০) জন্ম থেকেই অন্ধ। তবে তিনি এই অন্ধত্বকে বোঝা মনে করেন না। জন্মান্ধ হলেও তিনি পায়ে হেটে পথে পথে বাদাম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন দিনের পর দিন।
জানা যায়, দৌলতপুর উপজেলার মুসলিম নগর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে সাদেক আলী জন্ম থেকেই অন্ধ। স্ত্রী আর দুই মেয়ে নিয়ে তার সংসার। বড় মেয়েকে বিয়ে হয়ে গেছে। ছোট মেয়ে লেখাপড়া করছে ষষ্ঠ শ্রেণীতে। সম্বল বলতে বাবার দেয়া এক কাঠা জমির উপর পাঠকাঠির একটা ঘর। এখানেই পরিবার নিয়ে বসবাস করেন তিনি। সাদেক আলী সাথে কথা হলে তিনি জানান, জন্ম থেকেই অন্ধ তিনি। তবে অন্ধত্বকে বোঝা মনে করেন না। প্রতিদিন বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন উপজেলায় গিয়ে পায়ে হেটে বাদাম বিক্রি করেন।
সাদেক আলী বলেন, গত প্রায় ২৫বছর ধরে পথে পথে ঘুরে বাদাম বিক্রি করে বেড়ায়। সারাদিন বাদাম বিক্রি করলে তিন থেকে চারশ' টাকা আয় হয়। এ দিয়ে সংসার খরচ চলে যায়।তিনি আরও বলেন, নিজের কোন জমি নেই। বাবার দেয়া এক কাঠা জমির আছে মাত্র। একটি পাটকাঠির বেড়া দেয়া ঘরে পরিবার নিয়ে বসবাস করি।
সাদেক আলী বলেন, একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড রয়েছে নিজের নামে। এ ছাড়া সরকারী কোন সহযোগিতা পাই না। আমার একটা মাত্র দুইচালা ঘর তাও পাঠকাঠির বেড়া দেয়া। সরকার একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দিলে ভালো হয়।
সাননিউজ/ জেআই