নিজস্ব প্রতিনিধি, জামালপুর: জামালপুরের বকশিগঞ্জে স্বপ্না বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূকে স্বামীসহ শশুরবাড়ীর লোকজন নির্যাতন করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে নিহত গৃহবধূর পরিবার।
স্বপ্না বেগমের মৃতদেহ উঠানে রেখে স্বপ্নার স্বামী মিজানসহ শশুরবাড়ীর লোকজন পালিয়েছে। উপজেলার নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের বিনন্দরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সকালে ঘটনাস্থল থেকে স্বপ্না বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ। স্বপ্না বেগমের স্বামী মো. মিজান ওই গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। গৃহবধূর স্বামী পেশায় একজন কৃষক।
নিহত স্বপ্না বেগম শেরপুর জেলার শ্রীবরদী থানার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের সাতিয়াডাঙ্গা গ্রামের সফল হকের কন্যা।
স্বপ্না বেগমের চাচা খুরশেদ হক মোবাইল ফোনে জানান- ৫ বছর আগে স্বপ্না বেগমের সাথে মিজানের বিয়ে হয়। আজ ভোরে হঠাৎ মিজান মোবাইল ফোনে তাকে স্বপ্নার মৃত্যুর খবর জানালে তারা সবাই বকশিগঞ্জে আসেন। আসার পর স্বপ্না বেগমের মরদেহ বাড়ির উঠানে দেখতে পান। গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় স্বপ্নার পরিবার।
নিহত গৃহবধূর পরিবার দাবি করেন, এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, স্বপ্নার গলায় আঘাতের চিন্হ রয়েছে। আমাদের খবর দিয়ে স্বপ্নার মৃতদেহ উঠানে রেখে মিজানসহ পরিবারের লোকজন পালিয়ে যাওয়ায় আমরা ধারনা করছি, শ্বাসরুদ্ধসহ নির্যাতন করে স্বপ্নাকে হত্যা করা হয়েছে।
বকশিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম সম্রাট জানান- খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
ওসি আরো জানান- ঘটনার পর থেকেই স্বপ্না বেগমের স্বামীসহ বাড়ির সবাই পলাতক রয়েছে। তবে ঘটনাস্থল থেকে স্বপ্না বেগমের শাশুড়ি মনিলা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। এখনো মৃত্যুর কারন সম্পর্কে জানা যায়নি। তবে এই ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
সাননিউজ/ জেআই