সান নিউজ ডেস্ক :
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন তারকা হোটেল ও রেস্টুরেন্টেের বিদেশি জাতের দামি সবজি যাচ্ছে গরুর পেটে।
করোনাভাইরাসে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন তারকা হোটেল ও রেস্টুরেন্ট বন্ধ রয়েছে। তাই এসব হোটেল ও রেস্টুরেন্টের জন্য দেশের বিভিন্ন এলাকায় উৎপাদিত থাই আদা, কারি পাতা, বিট, এসপারাগাস, লেমন গ্রাসসহ দেশি-বিদেশি তুলসী, সুইট কর্ন, চাইপস বা নীলার মতো সবজি ব্যবহৃত হচ্ছে খাদ্য হিসেবে। এতে চরম বিপাকে পরেছেন এসব সবজি উৎপাদনকারীরা।
সরবরাহ বন্ধ থাকায় বিদেশি সবজি গরুকে খাওয়াতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
শিবগঞ্জ এবং গাবতলী দুই উপজেলায় মোট সাড়ে ২২ বিঘা জমিতে বিদেশি সবজি উৎপাদন করেন মোস্তাফিজার রহমান। এর মধ্যে ৮ বিঘা জমিতে থাই আদা এবং ৮ বিঘা জমিতে সুইট কর্ন লাগিয়েছেন। এগুলো বাজারজাত করার সময় পেরিয়ে গেছে ইতোমধ্যেই। জমিতেই নষ্ট হচ্ছে ফসল। সরবরাহ করতে না পারায় নেই আয়ও। তাই এসব সবজি কেটে ফেলে দেয়ার লোকও নিতে পারছেন না। কারণ শ্রমিক নিলেই দিতে হবে পারিশ্রমিক।
মোস্তাফিজার রহমান গণমাধ্যমকে বলেন ‘শুধু সুইট কর্নেই আমার ক্ষতি ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা। জমিতে থেকেই নষ্ট হয়ে গেল। কাটার জন্য মানুষ নিলে তাকে তো আবার পয়সা দিতে হবে। তাই গ্রামের মানুষদের বলেছি, তারাই যেন কেটে নিয়ে গিয়ে গরুকে খাওয়ায়। তাও আমার জমিটা পরিস্কার হোক। গ্রামের মানুষ করছে তাই। বছরে অন্তত কোটি টাকার সবজি যায় বড় বড় হোটেল রেস্তোরায়। করোনার কারণে ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকার সবজি খাচ্ছে গরু। এসব সবজির যেমন দাম, তেমনি বীজেরও দাম অনেক বেশি। তাই এই সময়টায় পুরো শেষ। আমরা এসব সবজি উৎপাদন করে কোটি কোটি টাকা বাঁচিয়ে দিচ্ছি দেশের। নইলে এইসবই আমদানি করতে হতো। সেই হিসাবে আমরাও রেমিটেন্স আনার কাজ করছি। সরকারের উচিত আমাদের দিকেও নজর দেওয়া।’
শুধু উৎপাদনকারীরাই নয়, এসব সবজি সরবরাহ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন এসব জমিতে কাজ করা শ্রমিকারাও। পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না তারা।
সুত্র: দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড