নিজস্ব প্রতিনিধি,গাইবান্ধা: গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রকি হত্যার প্রতিবাদে অভিযুক্ত কাঞ্চনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ জনগণ।
স্থানীয়রা জানান, একদল লোক হঠাৎ করে পূর্বপাড়ায় কাঞ্চনের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দ্রুতই চলে যায়। এসময় স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমে খবর দিলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে গাইবান্ধা জেলা ফায়ার সার্ভিস। প্রায় ঘণ্টা খানেক চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। অগ্নিকান্ডে কাঞ্চনের বাড়ি ও ব্যক্তিগত কার্যালয়ের বিভিন্ন আসবাবপত্র পুড়ে যায়। ওই এলাকায় বর্তমানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এদিকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান জানান, দুপুরের দিকে নিহতের বড় ভাই বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এতে চারজন নামীয় ছাড়াও ৭-৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে আসামিরা। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে আসামিরা রকিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। তবে পুরো ঘটনা তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানোর কথা জানান ওসি।
এর আগে গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের পূর্বপাড়ার হালিম বিড়ি ফ্যাক্টরির সামনে রকি হত্যার ঘটনাটি ঘটে। এ সময় গুরুতর আহত হন তার সঙ্গে থাকা সোহেল ও প্লাবন নামে আরও দুইজন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রকি, সোহেল ও প্লাবন মোটরসাইকেলযোগে গাইবান্ধা শহর থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথে শহরের পূর্বপাড়ার হালিম বিড়ি ফ্যাক্টরির সামনে গেলে পেছন থেকে একদল সন্ত্রাসী রকিসহ তিনজনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আরিফুল ইসলাম রকিকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত সোহেল ও প্লাবনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের গাইবান্ধা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সাননিউজ/ জেআই