নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: আশিকুর রহমান হৃদয়। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক-১। তবে তার এলাকার লোকেরা তাকে একজন মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাংয়ের লিডার হিসেবেই চিনে। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মধ্যপাড়ার শান্তিবাগ এলাকায়। বর্তমানে তিনি আসন্ন জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহ-সভাপতি প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন। তার বাবার নাম রফিক মিয়া (রফিকুল ইসলাম) ও মা’য়ের নাম মর্জিনা বেগম ওরফে মনা বেগম।
অনুসন্ধান করে জানা গেছে, মাদক ব্যবসা তার পারিবারিক ইতিহাস। অতীতে তার বাবা ও মা’য়ের নামেও মাদক মামলা ছিলো। আর মারামরির মামলা ছিলো হৃদয়ের নামে।
ছাত্রলীগ ওই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় মধ্যপাড়ার শান্তিবাগ এলাকার একটি কিশোর গ্যাং। গ্যাংয়ের সদস্যদের দিয়ে হৃদয় মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে। এলাকার বেশির ভাগ বাসিন্দা হৃদয়কে এক মাদক ব্যবসায়ী বলেই আখ্যা দিয়েছেন। সেইসব কথার ভিডিও রেকর্ড হাতে আছে যা গোপনে ধারণকৃত।তারা বলেছেন, মধ্যপাপাড়া এলাকার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করছে হৃদয়। আর কিশোর গ্যাং দিয়ে মাদক ব্যবসার প্রসার ঘটাচ্ছে।হৃদয়ের গোষ্ঠী বড় হওয়ায় প্রভাব দেখায়, তার যন্ত্রণায় এলাকার মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারেনা। হৃদয়ের বিরুদ্ধে মারামারির মামলাও ছিলো। রাজনৈতিক কিছু বড় ভাইয়ের ছত্রছায়ায় থেকে হৃদয় মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্ম করছে।
তবে হৃদয়ের ব্যপারে এলাকার অনেকেই ভয়ে মুখ খুলতে চাননা।কারণ তাদের কাছে হৃদয় মানে এক মূর্তিমান আতঙ্ক। এ ব্যাপারে অভিযু্ক্ত আশিকুর রহমান হৃদয়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার বাবা মা’য়ের বিরুদ্ধে যেই মাদক মামলাগুলো ছিলো সেগুলো ষড়যন্ত্রমূলক।এগুলোর সাথে তারা কখনো জড়িত ছিলোনা। তবে বর্তমানে তার মা সমিতির ব্যবসা করেন। যার দ্বারা ভালোই টাকা আয় হয়। হৃদয় নিজের বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে কিশোর গ্যাংয়ের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “রাজনীতি করতে হলে কিছু পোলাপান লাগে”।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আক্তার হোসেন বলেন, হৃদয় একজন মাদক ব্যবসায়ী।তার বাবা মা এই ব্যবসা করতো। সে এলাকার একজন অশৃঙ্খল ছেলে। গত কিছুদিন আগে মধ্যপাড়া এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মালেক সাহেব ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আমরা একটা মিটিং করেছিলাম মাদকের বিরুদ্ধে। সেখানে আমরা সবাই মাদকের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। আমরা এলাকা থেকে মাদক নির্মূলের জন্য যা করা দরকার তাই করবো।
এ ব্যাপারে জানতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ শোভনকে একাধিক বার ফোন করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
সাননিউজ/ জেআই