নিজস্ব প্রতিনিধি,বান্দরবান: বান্দরবানের লামায় মসজিদের মাসিক চাঁদা বকেয়া থাকার অযুহাতে এক যুবকের লাশ সামাজিক কবরস্থানে দাফন করতে দেয়নি স্থানীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আলী আক্কাস।
এমনকি লাশ বহন করার মসজিদের খাটিয়াও কেড়ে নেওয়া হয়েছে মৃতের স্বজনদের কাছ থেকে। পরে এলাকাবাসী মিলে বুধবার (৭ জুলাই) দুপুরে ওই যুবকের লাশ দাফন করে লামা-চকরিয়া মহাসড়কের পাশে।
লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আব্দুস সালাম জানান, জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার দিনগত রাতে স্থানীয় বধুরঝিরি এলাকার মো. ইরফান (৩০) নামক এক যুবক মারা যায়। পরে তার লাশ দফনে সামাজিক কবরস্থানে কবর খুঁড়তে যায় স্বজনরা। তবে মসজিদের দীর্ঘদিনের মাসিক চাঁদা বকেয়া থাকার অযুহাতে তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ান স্থানীয় বধুরঝিরি মসজিদ কমিটির সভাপতি আলী আক্কাস।
এমনকি লাশ বহনের জন্য মসজিদ থেকে নেওয়া খাটিয়াও মৃতের বাড়ি থেকে কেড়ে নিয়ে যায় আলী আক্কাস। মসজিদের ইমামকেও নিষেধ করে দেয় মৃতের জানাযা নামাজ না পড়াতে। পরে স্থানীয়রা মিলে লামা-চকরিয়া মহাসড়কের পাশে ওই যুবকের লাশটি দাফন করে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ইয়াংছা বধুরঝিরি মসজিদ কমিটির সভাপতি আলী আক্কাস নিজেও অকপটে স্বীকার করেন। আলী আক্কাসের ভাষ্য, দীর্ঘদিন মসজিদের কোনো চাঁদা দেননি ইরফান ও তার শ্বশুর। গতরাতে ইরফানের মৃত্যুর পর লাশ দাফনে জন্য আসলে তার স্বজনদের আগে মসজিদের বকেয়া পরিশোধ করতে বলি। ওই মসজিদ ও সামাজিক কবরস্থান তার বাবার দেওয়া ভূমি বলেও দাবি করেন আলী আক্কাস।
এই বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রেজা রশীদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাননিউজ/এএসএম