নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: করোনাকালে ভালো নেই সরাইল উপজেলার জুতা সেলাইয়ের করা (মুচি) সম্প্রদায়। করোনা মহামারিতে লকডাউনে আয় কমে গেছে মানুষের। এদের মধ্যে সবচেয়ে বিপদে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষরা। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে গত ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে দেশব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ। এ বিধিনিষেধ যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে সরাইলের মুচি সম্প্রদায়ের পরিবারগুলোর।
এখন দিনে ৩০-৪০ টাকা কামাই হয়। এ দিয়ে সংসার চলে না। সংসারে রয়েছে পাঁচ থেকে আটজন সদস্য। এরমধ্যে কিছুদিন হলো লকডাউন আর এতে লোকজন বের হন না তেমন। এতে কামাইও হয় না আমাদের। এখন কি করে সংসার চালাবো সে চিন্তায় রয়েছি। এমন করেই নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন জুতা সেলাইয়ের (মুচি) কাজ করা রবি দাস (৪০)। তিনি সরাইল উপজেলা কালিবাড়ি সামনে রাস্তার পাশে বট গাছের নিচে মুচির কাজ করেন। কয়েক দিন ধরে কোন কাজ কর্ম নাই, দেখ বসে আছি লকডাউনে লোকজন বাহের হয় না।
জানা যায়, সরাইলে উপজেলায় অনেকে জুতা সেলাইয়ের কাজ করেন। লকডাউনে এদের বেশিরভাগই কাজ না থাকায় অলস সময় পার করছেন। আবার কেউ বাক্স গুছিয়ে চলে গেছেন বাড়িতে।
জুতা সেলাইয়ের কাজ করা শামলাল বলেন, জন্মের পর থেকে যখন বড় হয়েছেন তারপর থেকেই তিনি এ কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন। আগে দিনে ২০০-৩০০ টাকা আয় করতেন। কিন্তু করোনা আসার পর থেকে তেমন আয় হয় না। দিনে ৫০-৬০ টাকা আয় হয়। এতে সংসার চলে না।
ধনু রবি দাস বলেন, কোন কাম কাজ নাই বইসা তাহি, কি করব,গতবছর করোনার শুরুতে কিছু সহযোগিতা পেলেও এবছর কোনো সহযোগিতা পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে করোনার মধ্যে ফুটপাতে কাজের জন্য বসে আছি। তবে বিধিনিষেধ থাকায় নেই কোনও ক্রেতা।
সাননিউজ/ জেআই