নিজস্ব প্রতিনিধি, খুলনা : খুলনায় করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি ও ঋতু পরিবর্তনের কারণে বেড়েছে জ্বর, সর্দি, কাশির রোগী। ফলে চাহিদা বেড়েছে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের। আর এই সময়ে হঠাৎ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না নাপা গ্রুপের ওষুধ।
নগরীর ফার্মেসিগুলোতে মিলছে না নাপা, নাপা অ্যাক্সট্রা, নাপা অ্যাক্সট্রেন্ড ও সিরাপ জাতীয় ওষুধ। দু-একটি ফার্মেসিতে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ মিললেও তা ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে চড়া দামে।
রোগীরা বলছেন, কৃত্রিম সঙ্কট দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করছেন। আর ওষুধ ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোম্পানি থেকেই নাপার সাপ্লাই নেই।
নগরীর হেরাজ মার্কেট, খুলনা মেডিকেল কলেজের সামনের ওষুধের মার্কেট ও খালিশপুসহ বেশকিছু এলাকার ফার্মেসি ঘুরে এমন চিত্রের দেখা গেছে।
ফার্মেসির মালিকরা জানান, প্যারাসিটামলের মধ্যে নাপা, এইচ প্লাস, অ্যাক্সট্রা, অ্যাক্সট্রেন্ড, ফাস্ট, টামেন, রেনোভা নামের বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ রয়েছে। অথচ মানুষ নাপার প্রতি ঝুঁকছেন বেশি। তারা নাপা ছাড়া অন্য ওষুধ নিতে চাচ্ছেন না।
বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি খুলনা শাখার সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, অনেক মানুষের এখনই প্রয়োজন নেই, কিন্তু পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ কিনে রাখছেন। মানুষের নাপার প্রতি ঝোঁকটা বেশি। এ কারণে চাহিদা বেড়ে সঙ্কট তৈরি হয়েছে।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, মানুষের মধ্যে একটি ভ্রান্ত ধারণা- জ্বর হলে শুধু নাপাই খেতে হবে। কিন্তু অন্য কোম্পানিগুলোরও যে বিভিন্ন নামে প্যারাসিটামল ওষুধ আছে, সে সম্পর্কে তাদের ধারণা কম। জ্বর হলে চিকিৎসকরা প্যারাসিটামল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে তার মানে শুধু নাপা খেতে হবে- তা নয়, ভালো মানের অন্য কোম্পানির প্যারাসিটামল খেলেই হবে। এ বিষয়ে সকলকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান তিনি।
সান নিউজ/এসএম