নিজস্ব প্রতিনিধি,শরীয়তপুর: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে সারাদেশের বেশির ভাগ জায়গাতেই যেখানে সামাজিক দূরত্ব, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে গরুর হাটের আয়াজকরা। সেখানে শরীয়তপুর পৌরসভার ‘মনোহর বাজার গো-হাট’ প্রশাসনের নজরদারিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে ব্যতিক্রমী এক গরুর হাট।
শরীয়তপুর সদরের ইউএনও মনদীপ ঘরাই’র উদ্যোগে ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এ গরুর হাট বসেছে।
ইউএনও মনদীপ ঘরাই বলেন, সারাদেশে সংক্রমণ বাড়ছে। তাই করোনা ভাইরাস রোধে রাত দিন কাজ করে যাচ্ছি। যেহেতু সামনে ঈদুল আজহা। তাই সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গরুর হাট বসবে। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলার প্রতিটি গরুরহাটে নজরদারি রেখেছি। যাতে করে হাটে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ক্রেতা ও বিক্রেতারা বেচা বিক্রি করতে পারে তাই এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।
নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রতি সোমবার বসে এই গরুর হাট। আজও সকাল থেকে বসেছে এ গরুর হাট। এ হাটে মাদারীপুর, চাঁদপুর জেলাসহ শরীয়তপুরের ছয়টি উপজেলা থেকে গরু আসে এ হাটে। জেলার মধ্যে সব চেয়ে বড় গরুর হাট এটি। করোনাকালে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এ হাট বসায় উপকৃত হচ্ছে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ে।
সরেজমিনে হাটে গিয়ে দেখা যায়, তিন একর জায়গার উপর শুরু হওয়া এ হাটে আগত ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য হ্যান্ডস্যানিটাইজার, মাক্স ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছে হাট কর্তৃপক্ষ। আগত ক্রেতা ও গরুসহ বিক্রেতাদের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পুলিশ ও আনসার ভিডিপির সদস্যদের সহায়তা নেয়া হয়েছে।
দুপুর দেড়টার দিকে গরুর হাটটি পরিদর্শনে আসেন ৯৯ কম্পোজিট বিগ্রেডের বিগ্রেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, শরীয়তপুরের ডিসি পারভেজ হাসান, এসপি এসএম আশরাফুজ্জামান, সিভিল সার্জন এসএম আব্দুল্লাহ আল মুরাদ। এ সময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, আনসার ভিডিপি'র সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সাননিউজ/এএসএম